Thursday, August 7, 2025
Homeজাতীয়ঢাকায় SABRE+ সিস্টেমের উন্মোচন: সরকারি খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য নতুন দিকনির্দেশনা

ঢাকায় SABRE+ সিস্টেমের উন্মোচন: সরকারি খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য নতুন দিকনির্দেশনা

ফাইন্যান্স ডিভিশনের উদ্যোগে SABRE+ সিস্টেমের কার্যকারিতা ও গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে, যা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বাজেট, রিপোর্টিং ও মূল্যায়ন ব্যবস্থাকে আধুনিক করবে।

ঢাকায় সোমবার ফাইন্যান্স ডিভিশন SABRE+ সিস্টেম — রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোর বাজেট, রিপোর্টিং ও মূল্যায়ন সিস্টেম — এর মূল বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরে একটি কর্মশালা আয়োজন করেছে। এই কর্মশালায় ফাইন্যান্স ডিভিশনের ১৪৮ জন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন, যেখানে সিস্টেমটির কার্যকারিতা ও প্রযুক্তিগত দিকগুলি বিস্তারিতভাবে প্রদর্শন করা হয়।

ফাইন্যান্স মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহুদ্দিন আহমেদ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, “SABRE+ শুধুমাত্র একটি ডিজিটাল টুল নয়, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যা রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শাসন ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ, তথ্যভিত্তিক এবং জবাবদিহিমূলক করবে।” তিনি আরও বলেন, “সঠিক শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য সময়মতো মূল্যায়ন এবং শক্তিশালী পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত জরুরি, এবং SABRE+ সেই লক্ষ্য অর্জনে আমাদের সহায়তা করবে।”

কর্মশালায় ফাইন্যান্স ডিভিশনের সচিব ড. মো. খাইরুজ্জামান মজুমদার বলেন, “এই সিস্টেমটি বাজেট পরিকল্পনা এবং তরলতা ব্যবস্থাপনায় অসম্পূর্ণতা দূর করতে সাহায্য করবে। এখন আমাদের একটি কর্মদক্ষতা-ভিত্তিক এবং সম্মতি-ভিত্তিক কাঠামোয় পরিবর্তন আসা দরকার।”

এছাড়া, অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ (প্রশাসন, পরিকল্পনা ও TDM) এবং নাসরিন সুলতানা (নিয়মনীতি, বাস্তবায়ন, আইন ও SOE) বক্তব্যে বলেন, SABRE+ সিস্টেমের কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠানিক এবং আইনি ভিত্তি গড়ে তোলার গুরুত্ব।

SPFMS এর জাতীয় প্রোগ্রাম পরিচালক বিলকিস জাহান রিমি বলেন, “SABRE+ একটি একীভূত ডিজিটাল ইন্টারফেস, যা বাজেটিং, ঋণ ব্যবস্থাপনা এবং মূল্যায়নকে সহজ করে এবং আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী পরিচালিত হয়।”

সিস্টেমটি ৮৪টি সংস্থায় ইতোমধ্যে চালু হয়েছে, যা সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনার ডিজিটাল রূপান্তরের একটি বড় পদক্ষেপ।

কর্মশালায় ফিরোজ আহমেদ, অতিরিক্ত পরিচালক-২, মনিটরিং সেল, SABRE+ সিস্টেমের মূল উপাদানগুলো উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, সিস্টেমটি জাতীয় iBAS++ সিস্টেমের সাথে সংযুক্ত রয়েছে এবং এটি আর্থিক ও অ-আর্থিক তথ্য সংগ্রহ করে।

ড. আমিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পরিচালক-১, জানিয়ে দেন যে, বর্তমানে ১০১টি SOE এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার মোট দায় দাঁড়িয়েছে ৬,৩৯,৭৮২.৫৮ কোটি টাকা, যার মধ্যে ২৬ শতাংশ সাবসিডিয়ারি ঋণ চুক্তির আওতায় রয়েছে। তিনি সতর্ক করেন যে, ১৪টি সংস্থা “অত্যন্ত উচ্চ ঝুঁকি” ক্যাটেগরিতে রয়েছে, এবং তাদের দায়ের পরিমাণ ১,৭২,০১৬.৯৪ কোটি টাকা, যার তরল সম্পদ মাত্র ২,৮৩৭.২৩ কোটি টাকা।

তিনি জানান, সরকারের গ্যারান্টি, আইনগত দাবী এবং বাধ্যতামূলক দানে মোট শর্তাধীন দায় ১৮,৫৯০.৭৪ কোটি টাকা।

এই সিস্টেমের মাধ্যমে সরকারি খাতের আর্থিক ঝুঁকি চিহ্নিত করা ও সঠিকভাবে নজরদারি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে, যা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

RELATED NEWS

Latest News