কুমিল্লার মুরাদনগরে গত ৩ জুলাই মা, ছেলে ও মেয়ে হত্যার ঘটনায় নতুন আলামত সামনে এসেছে। নিহত রোকসানা বেগম (রুবি), তার ছেলে রাসেল মিয়া ও মেয়ে তাসপিয়া আক্তার জানাকি হত্যা ঘটনায় বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ আনে রোকসানার বড় মেয়ে রিক্তা আক্তার।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রিক্তা দাবি করেন, বিল্লাল হোসেনই এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে মদদ দিয়েছেন। তিনি বলেন, “বিল্লাল হোসেনের নির্দেশে স্থানীয় নেতা শিমুল চেয়ারম্যান হত্যাটি সম্পন্ন করেন।” তার দাবি, শিমুল এখনও গ্রেফতার হয়নি এবং অপরাধীদের মধ্যে অনেকেই এখনও পলাতক এবং তার বিরুদ্ধে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
রিক্তা আক্তার জানান, হত্যার পরপরই তিনি ৯৯৯ নম্বরে পুলিশের সাহায্য চেয়েছিলেন, কিন্তু পুলিশ তখন পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি, যখন পর্যন্ত নিহতরা মারা যান।
রিক্তা অভিযোগ করেন, তার মা রোকসানা বেগম একটি নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছিলেন। তার মা বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলেন, কিন্তু বিল্লাল হোসেন তাকে তার পছন্দের ঠিকাদারদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এর পর বিরোধ বৃদ্ধি পেয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটে।
রিক্তা আরও জানান, তার মা কমিউনিটিতে সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। কিন্তু ঈর্ষার কারণে তার বিরুদ্ধে মাদক মামলায় মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছিল, যার ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।
এছাড়াও, রিক্তা আক্তারের স্বামী খলিলুর রহমান, রাসেলের স্ত্রী মিম আক্তার, এবং জানাকির তিন সন্তানও ওই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। তারা হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানান এবং একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান করেন।
রিক্তা বলেন, “আমরা চাই যে সমস্ত অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করা হোক, নতুনভাবে চিহ্নিত সন্দেহভাজনদেরও মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হোক এবং আমাদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।”