ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, গত মাসে বাত্রা এলাকায় এক “ষড়যন্ত্রমূলক সভা” নিয়ে তদন্ত চলছে। ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, এই ষড়যন্ত্রের পেছনের রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।
তিনি জানান, পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছে। এই সভাটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নামে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের সভা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে কোনও নিরাপত্তা হুমকি বা নাশকতার আশঙ্কা নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, পেছনে বিভিন্ন গ্রুপের একাধিক অপচেষ্টা দেখা গেছে। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আটজন আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগীদের আটক করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৮ আগস্ট বাত্রায় এক কনভেনশন হলে এক “অস্থিতিশীল পরিস্থিতি” সৃষ্টির পরিকল্পনা নিয়ে সভা হয় বলে অভিযোগ। এই সভার জন্য বিদেশে ভ্রমণের জন্য হোটেল ভাড়া নেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই সভায় সামরিক প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
একই সঙ্গে, এই ঘটনায় আরেক ঘটনায় ১৩ জুলাই একটি মামলা দায়ের হয়। যেখানে সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তার নাম দেখা গেছে, তিনি সেনাবাহিনীর মাধ্যমে এই ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকায় তাকে সামরিক কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।
এছাড়া, পুলিশের এই অভিযান ও তদন্তের মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেছেন।