Sunday, June 22, 2025
Homeআন্তর্জাতিকযুক্তরাষ্ট্রে বাজেট বিল পাস হলে লাখো মানুষ স্বাস্থ্য ও খাদ্য সহায়তা হারাতে...

যুক্তরাষ্ট্রে বাজেট বিল পাস হলে লাখো মানুষ স্বাস্থ্য ও খাদ্য সহায়তা হারাতে পারেন

ডেইলি প্রতিদিনের বাণী রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২৫, ৯:৩০ পিএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থিত একটি নতুন বাজেট বিল বৃহস্পতিবার প্রতিনিধি পরিষদে পাস হয়েছে। বিলটি আইনে পরিণত হলে যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক নিরাপত্তা খাতের বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে।

বিলটিতে কম আয়ের প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য মেডিকেইড স্বাস্থ্যবিমা এবং খাদ্য সহায়তার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক কাজের শর্ত আরোপের পাশাপাশি গর্ভনিরোধসহ জন্মসংক্রান্ত সেবায় অর্থায়ন হ্রাসের প্রস্তাব রয়েছে।

এই পদক্ষেপের পক্ষে থাকা আইনপ্রণেতারা বলছেন, এতে বাজেট সাশ্রয় হবে, অপচয় কমবে এবং ব্যক্তিগত দায়িত্ববোধ বাড়বে।

তবে কংগ্রেশনাল বাজেট অফিসের প্রাথমিক হিসাব বলছে, প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়িত হলে এক দশকে ৮৬ লাখ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।

মেডিকেইডের জন্য কাজের শর্ত

২০২৬ সাল থেকে ৬৫ বছরের নিচের কর্মক্ষম মেডিকেইড ভুক্তভোগীদের স্বাস্থ্য সেবার বিনিময়ে কাজ, স্বেচ্ছাসেবা বা পড়াশোনায় অংশগ্রহণের প্রমাণ দিতে হবে।

যদিও বর্তমানে ৯২ শতাংশ মেডিকেইড গ্রহীতা ইতোমধ্যে কাজ, পড়াশোনা বা সেবা কার্যক্রমে যুক্ত, তবুও বাকি ৮ শতাংশকে নতুন শর্ত মানতে হবে। ফলে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ কভারেজ হারাতে পারেন।

আরকানসাসে আগে এ ধরনের শর্ত কার্যকর হলে ২০১৮ সালে ১৮ হাজারের বেশি মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বাদ পড়েছিলেন।

গ্রামীণ এলাকায় প্রভাব বেশি

স্বাস্থ্য খাতের বিশ্লেষকরা বলছেন, গ্রামীণ হাসপাতালে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। কারণ মেডিকেইড না থাকলে রোগীরা চিকিৎসার খরচ দিতে না পারায় হাসপাতালকে ক্ষতিপূরণ বহন করতে হয়।

খাদ্য সহায়তায় কড়াকড়ি

ফুড স্ট্যাম্প বা SNAP সুবিধার জন্য কাজের শর্ত ৫৪ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ বছর করা হচ্ছে। পাশাপাশি সাত বছরের বেশি বয়সী সন্তান ছাড়া অভিভাবকদেরও এই শর্তে আনা হচ্ছে।

এই পরিবর্তনে ৬০ লাখের বেশি মানুষ খাদ্য সহায়তা হারাতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান।

অবৈধ অভিবাসীদের চিকিৎসা সেবায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

যেসব রাজ্য অবৈধ অভিবাসীদের স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে, তারা ফেডারেল ফান্ডিং কম পাবে। এতে ১৪টি রাজ্য প্রভাবিত হতে পারে বলে জানায় জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির এক গবেষণা প্রতিষ্ঠান।

গর্ভপাত কেন্দ্রগুলোতে অর্থায়ন বন্ধ

বিলটি পাশ হলে প্ল্যানড প্যারেন্টহুডের মতো সংস্থাগুলো তাদের কেন্দ্রের এক-তৃতীয়াংশ বন্ধ করতে পারে। কারণ তাদের ফেডারেল ফান্ড বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

ট্রান্সজেন্ডারদের স্বাস্থ্যসেবায় বাধা

২০২৭ সাল থেকে ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য জেন্ডার-আফার্মিং কেয়ার কাভারেজও বন্ধ হয়ে যাবে মেডিকেইডে।

এই পরিবর্তনের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে সামাজিক সহায়তা ব্যবস্থার কাঠামো নতুন করে প্রশ্নের মুখে পড়েছে বলে মত বিশ্লেষকদের।

RELATED NEWS

Latest News