গাজা উপত্যকার মানবিক পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (WFP) জানিয়েছে, অঞ্চলটির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ দিনের পর দিন খাবার না পেয়েই বেঁচে থাকার চেষ্টা করছেন। শুক্রবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি একে “অবিশ্বাস্য পর্যায়ের মরিয়া পরিস্থিতি” হিসেবে বর্ণনা করেছে।
ইতালির রোমভিত্তিক এই সংস্থাটি পূর্বেই গাজায় দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছিল। চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সমালোচনা বেড়েই চলেছে।
WFP-এর দেওয়া তথ্যে বলা হয়েছে, বর্তমানে গাজায় ৯০ হাজার নারী ও শিশু চরম অপুষ্টিতে ভুগছেন এবং তাদের জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন। মে থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রায় ৪ লাখ ৭০ হাজার মানুষ ‘চরম দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি’ হতে পারেন, যা জাতিসংঘের খাদ্য নিরাপত্তা পর্যায়ের সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “খাবারের দাম এতটাই বেড়ে গেছে যে মানবিক সহায়তা ছাড়া সাধারণ মানুষের পক্ষে খাদ্য জোগাড় করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। মানুষ সাহায্য না পেয়ে মারা যাচ্ছে।”
চলমান যুদ্ধে ইসরায়েল গত মার্চ মাসে গাজাকে সহায়তা অবরোধে ফেলে। তারপর থেকেই অঞ্চলটিতে শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার প্রতিনিধিরা।
বিশ্বের মানবিক ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো গাজার জন্য অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ মানবিক সহায়তা চালুর দাবি জানিয়েছে। দুর্ভিক্ষের হাত থেকে এই জনপদকে বাঁচাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে জাতিসংঘ ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।