ঢাকার উত্তরায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ জেট বিমানের দুর্ঘটনায় নিহত স্কুলশিক্ষক মাসুকা বেগমকে ফুলেল শ্রদ্ধা ও গার্ড অব অনার প্রদান করেছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী।
শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর গ্রামে মাসুকা বেগমের কবরস্থানে বিমান বাহিনীর ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এই শ্রদ্ধা জানায়। তারা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা প্রকাশ করেন।
স্কোয়াড্রন লিডার মশিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “ঢাকা একটি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ায় বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে অনেক কিছুতে ছাড় দিতে হয়। যেকোনো সময়, যেকোনোভাবে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকেই ঢাকায় বিমান চলাচল হয়ে আসছে। এমন দুর্ঘটনা খুবই কম ঘটে।”
মাসুকা বেগমের গ্রামের বাড়ি ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চিলোকুট গ্রামে। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। তার বাবা সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী বর্তমানে আশুগঞ্জের সোহাগপুর গ্রামে বড় মেয়ের সঙ্গে বসবাস করছেন। এ কারণে মাসুকা বেগমের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী সোহাগপুর কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ থেকে সম্মান ডিগ্রি এবং ঢাকার ইডেন কলেজ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। দুই বছর আগে তিনি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাথমিক শাখার ইংরেজি বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।
এই দুর্ঘটনায় তার অকাল মৃত্যুতে স্থানীয় এলাকাবাসী ও সহকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে এই ঘটনা ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে তদন্ত কার্যক্রমও শুরু হয়েছে।