চট্টগ্রাম বন্দরে বহু বছর ধরে জমে থাকা ৬ হাজারেরও বেশি কনটেইনার সরিয়ে বন্দরজট নিরসনে বড় ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ। এই লক্ষ্যে দ্রুত নিলামের মাধ্যমে কনটেইনারগুলো বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দর ভবনের কনফারেন্স কক্ষে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন শিপিং উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
সভায় অংশ নেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের কমিশনারসহ এনবিআর ও বন্দর কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ৬ হাজার ৬৯টি কনটেইনারের মধ্যে ৫ হাজার ১৪৩টির তালিকা তৈরি সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৯২৬টি কনটেইনারের তালিকা আগামী অক্টোবরের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে জানানো হয়।
সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, নিলাম প্রক্রিয়ায় আইনি জটিলতা এড়াতে বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে এনবিআর। এতে প্রথম নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতার কাছেই পণ্য হস্তান্তরের সুযোগ রাখা হয়েছে, ফলে একাধিকবার নিলাম আয়োজনের প্রয়োজন পড়বে না। এতে করে দ্রুত বন্দর খালি করা সম্ভব হবে।
চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে ৬ হাজার ৬৯টির মধ্যে ৫ হাজার ২৫০টি কনটেইনার নিলামে বিক্রি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে নিলাম সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জাতীয় পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “নিয়মিত নিলামের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার জট কমবে, সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে অনাবশ্যক জটও প্রতিরোধ সম্ভব হবে।”
সভায় আরও বলা হয়, কনটেইনার জট নিরসন হলে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, পণ্য খালাসে অপেক্ষার সময় কমবে, আমদানি-রপ্তানিকারকদের ব্যয় কমবে এবং জনগণও পণ্যের দাম কমে উপকৃত হবে।
শিপিং উপদেষ্টা চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেন এবং এনবিআর ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান।
চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যকারিতা বৃদ্ধির এই উদ্যোগ দেশের আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল করে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।