বার্সেলোনার জার্সিতে নতুন অধ্যায় শুরু করলেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড মার্কাস রাশফোর্ড। তবে বিদায়ের সময়ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রতি সম্মান দেখাতে ভুল করেননি তিনি। ক্লাবের সঙ্গে দীর্ঘ ১৪ বছরের সম্পর্ক শেষ হলেও কোনো বিরূপ মন্তব্য করেননি এই ইংলিশ তারকা।
২৭ বছর বয়সী রাশফোর্ড সম্প্রতি বার্সেলোনায় ছয় মাসের ধারে যোগ দিয়েছেন। নতুন কোচ রুবেন আমোরিমের সঙ্গে অনুশীলন নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে ইউনাইটেড দলে উপেক্ষিত হন তিনি। এরপর জানুয়ারিতে অ্যাস্টন ভিলায় ধারে যান এবং সেখান থেকে ফিরে আসার পর তাকে মূল দলের বাইরে অনুশীলন করতে বলা হয়।
ইউনাইটেড অবশ্য শুরুতে রাশফোর্ডকে স্থায়ীভাবে বিক্রি করতে চেয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বার্সেলোনার সঙ্গে ধারের চুক্তিতে রাজি হয়, যেখানে পরবর্তী মৌসুমে স্থায়ী চুক্তির সুযোগও রয়েছে।
বার্সেলোনায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাশফোর্ড বলেন, “ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড নিয়ে আমার কোনো খারাপ মন্তব্য নেই। এটি শুধুমাত্র আমার ক্যারিয়ার না, জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশও ছিল। তবে জীবন যেমন সরল পথে চলে না, তেমনই ফুটবলও অনিশ্চিত। এটা আমার পরবর্তী ধাপ, নতুন অধ্যায়।”
গ্যারি লিনেকারের মন্তব্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে, যিনি বলেছিলেন রাশফোর্ডের সমস্যার জন্য ক্লাবই দায়ী, রাশফোর্ড কৌশলীভাবে উত্তর দেন, “ইউনাইটেড এখন একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, এবং এটা অনেক দিন ধরেই চলছে।”
রাশফোর্ড আরও জানান, জানুয়ারি থেকেই তার বার্সেলোনায় খেলার আগ্রহ ছিল। তবে তা তখন সম্ভব না হওয়ায় অ্যাস্টন ভিলায় ধারে যান এবং সেখানকার সময়টুকু উপভোগ করেছেন বলে জানান। এবার গ্রীষ্মের ট্রান্সফার উইন্ডোতে বার্সা ছাড়া অন্য কিছু ভাবেননি তিনি।
“আমি সবসময় গতিময় এবং তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে পছন্দ করি,” বলেন রাশফোর্ড। “ছোটবেলা থেকেই বার্সেলোনার খেলা উপভোগ করতাম। গত মৌসুমে তারা অনেক শিরোপা জিতেছে এবং এবারও জয়ের জন্য ক্ষুধার্ত।”
নতুন কোচ হান্সি ফ্লিকের প্রশংসা করে রাশফোর্ড বলেন, “আমার এখানে আসার অন্যতম প্রধান কারণ ছিল কোচের সঙ্গে হওয়া আলাপ। তিনি অসাধারণ একজন কোচ এবং গত মৌসুমে তরুণদের নিয়ে দুর্দান্ত কাজ করেছেন। আমি উচ্ছ্বসিত এবং বার্সার পদ্ধতি থেকে অনেক কিছু শিখতে চাই।”
তিনি সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “প্রথম দিনেই আমি ঘরের মতো অনুভব করছি। আশা করি সবাই আমার খেলা উপভোগ করবেন। প্রথম ম্যাচটি আমার জন্য বিশেষ এক মুহূর্ত হবে।”
বার্সেলোনার জার্সিতে রাশফোর্ডের অভিষেক কেমন হয়, সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা। তবে নতুন ক্লাবের প্রতি আত্মবিশ্বাসী মনোভাব ও পুরনো ক্লাবের প্রতি সম্মান দেখিয়ে ইতোমধ্যেই প্রশংসা কুড়াচ্ছেন ইংল্যান্ডের এই স্ট্রাইকার।