Thursday, July 24, 2025
Homeখেলাধুলাক্রিকেটঢাকায় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভা বয়কটের হুমকি, বিতর্কে বিসিবি

ঢাকায় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভা বয়কটের হুমকি, বিতর্কে বিসিবি

ঢাকায় অনুষ্ঠেয় বার্ষিক সভা বয়কটের হুমকি ভারতসহ কয়েকটি দেশের, জবাবে নিরপেক্ষ অবস্থানে বিসিবি

ঢাকায় অনুষ্ঠেয় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বার্ষিক সাধারণ সভাকে কেন্দ্র করে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখে পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ২৩ ও ২৪ জুলাই হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠেয় দুই দিনের এই সভা নিয়ে ভারতের অংশগ্রহণ না করার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন, নির্ধারিত সময়েই সভা অনুষ্ঠিত হবে। তবে বোর্ডের অভ্যন্তরেই এ সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ক্রিকবাজের এক প্রতিবেদনে বিসিবির এক সূত্র জানান, “এখন মনে হচ্ছে বিষয়টি ভূ-রাজনৈতিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি মোহসিন নাকভি যখন আমিনুলকে এই সভার আয়োজনের অনুরোধ করেন, তখন তিনি আরও সময় নিতে পারতেন। বিষয়টির রাজনৈতিক দিক বিবেচনায় আনেননি।”

বিসিবির অভ্যন্তরে মতবিরোধের ইঙ্গিতও মিলেছে। আরেক কর্মকর্তা জানান, “কিছু পরিচালক ভারতের বিরূপ প্রতিক্রিয়া এড়াতে সভা বাতিলের পক্ষে ছিলেন, কিন্তু সভাপতি তার প্রতিশ্রুতির কথা বলে সভা আয়োজনেই অনড় থাকেন।”

তবে আমিনুল ইসলাম নিজ অবস্থানে অটল। তিনি সম্প্রতি বিদেশ সফর শেষে দেশে ফিরে জানান, “সভাটি এসিসির। আমরা কেবল স্থানীয় আতিথেয়তা, থাকা-খাওয়া এবং আনুষ্ঠানিক সহায়তা দিচ্ছি। এসিসি চাইলে সভা অন্য কোথাও সরিয়ে নিতে পারে, আমাদের কোনো আপত্তি নেই।”

ভারত অবশ্য শুরু থেকেই ঢাকা ভেন্যুর বিপক্ষে। তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণ দেখিয়ে সভায় যোগ না দেওয়ার কথা বলেছে।

সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, ভারত ছাড়াও আফগানিস্তান ও ওমান সভায় অংশ নেবে না। এমনকি শ্রীলঙ্কাও শেষ মুহূর্তে অনুপস্থিত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই অবস্থার প্রভাব শুধু সভাতেই সীমাবদ্ধ নয়। ভারতের পক্ষ থেকে ২০২৫ সালের এশিয়া কাপ বয়কটের হুমকিও এসেছে, যদি সভাটি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। ফলে টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে, যেটি ভারতের মাটিতে হওয়ার কথা।

বাংলাদেশের জন্য এই পরিস্থিতি এক ধরনের কূটনৈতিক ভারসাম্যের চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। বিসিবি নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখার চেষ্টা করলেও ভারত ও পাকিস্তানের টানাপোড়েনে নিজেদেরকে খেলার বাইরে রেখে চলা কঠিন হয়ে পড়ছে।

সভাটি অনুষ্ঠিত হলে তা দক্ষিণ এশিয়ার ক্রিকেট রাজনীতির নতুন মোড় তৈরি করতে পারে, আর বাতিল হলে সেই সংকট আরও ঘনীভূত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

RELATED NEWS

Latest News