পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় বাংলাদেশের জন্য কেবল আরেকটি ক্রীড়াসাফল্য নয়, এটি হয়ে উঠেছে জাতীয় শোকের প্রেক্ষাপটে এক ধরনের আবেগময় শ্রদ্ধার্ঘ।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো শিশু ও পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশ দল এই সিরিজ জয় উৎসর্গ করেছে।
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক লিটন দাস বলেন, “গতকাল একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা এই সিরিজটি তাদের পরিবারের প্রতি উৎসর্গ করতে চেয়েছি। দেশের মানুষ এখন শোকাহত, আমরা চেয়েছি খেলাধুলার মাধ্যমে একটু স্বস্তি দিতে।”
লিটন আরও বলেন, “আমরা জানতাম এটি বড় স্কোরের ম্যাচ হবে না। পাওয়ারপ্লেতে ভালো ব্যাট করতে পারিনি। তবে মাহেদি ও জাকের দুর্দান্ত ব্যাট করেছে। উইকেটটা ছিল ১৩০-১৪০ রান উপযুক্ত। আমরা ভালো বল করেছি, বিশেষ করে প্রথম ১২-১৫ ওভারে।”
ম্যাচে বাংলাদেশ শুরুতেই কয়েকটি উইকেট হারায়। তবে জাকের আলীর ধৈর্য্য ও সাহসী ব্যাটিং দলকে আবার খেলায় ফেরায়। ৪৮ বলে ৫৫ রানের ইনিংসের জন্য জাকের হন ম্যাচ সেরা।
জাকের বলেন, “শুরুতেই উইকেট হারানোয় চাপ তৈরি হয়েছিল। মাহেদি সাহসী খেলেছে, আমি তাকে সাপোর্ট করেছি। পরিকল্পনা ছিল ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত টেনে নেওয়ার।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের বোলাররা পুরো সিরিজে ভালো করেছে। আজকের ম্যাচটিও ছিল দারুণ। পাকিস্তান কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে, কিন্তু শেষ হাসি আমাদের।”
এই জয়ে বাংলাদেশ ২–০ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করেছে এবং দেশের শোকাবহ মুহূর্তে খেলাধুলার এক ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিয়েছে।