কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার একটি ধর্ষণ মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় কুমিল্লার পুলিশ সুপারকে সশরীরে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১২ আগস্ট তাকে আদালতে উপস্থিত হয়ে এই ব্যর্থতার কারণ ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সাইয়েদ জাহেদ মনসুরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। বিষয়টি নিয়ে একটি রিট আবেদনের শুনানির পর আদালত এ সিদ্ধান্ত নেন।
এর আগে গত ২৯ জুন, মুরাদনগরের ২৫ বছর বয়সী এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দেন আদালত।
পাশাপাশি, ভুক্তভোগী নারীর নিরাপত্তা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করারও নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মামলার অগ্রগতি ও নির্দেশনার বাস্তবায়ন প্রতিবেদন ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।
জানা যায়, গত ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর পাঁচকিট্টা গ্রামে ওই নারী ধর্ষণের শিকার হন। ঘটনার পর স্থানীয়রা ধর্ষক ফজর আলীকে আটক করে গণপিটুনি দিলে সে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনার সময় কিছু লোক উপস্থিত থেকে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়, যা ব্যাপক নিন্দা ও উদ্বেগের সৃষ্টি করে।
খবর পেয়ে মুরাদনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
পরবর্তীতে, মামলার প্রধান আসামিকে ২৯ জুন ঢাকার সূত্রাপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় তদন্তে গড়িমসি ও আদালতের নির্দেশনা পালন না করায় হাইকোর্টের কড়া অবস্থান পুনরায় পরিষ্কার হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।