উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানের বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিখোঁজ থাকা তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী রাইসা মণির মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তার মরদেহ শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা।
রাইসার চাচা এমদাদুল শেখ সন্ধ্যা ৬টার দিকে সাংবাদিকদের জানান, “আমার ভাই নিজেই তার মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করেছেন। বিকেলে সিএমএইচে মরদেহটি দেখতে গিয়ে নিশ্চিত হন তিনি।”
রাইসা মণি (কোড-২০১০, সেকশন-স্কাই) ছিলেন ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বাজরা গ্রামের শাহাবুল শেখের মেয়ে। তিনি ছিলেন তিন ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয়। তার একটি বড় বোন এবং একটি ছোট ভাই রয়েছে।
পরিবারের সদস্য তারিকুল শেখ জানান, “রাইসা মণিকে পাওয়া গেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সে আর জীবিত নেই। তার শরীরের ৮০ শতাংশই পুড়ে গেছে। পেট থেকে মাথা পর্যন্ত ছিল সবচেয়ে বেশি দগ্ধ। তবে মুখ দেখে বাবা নিজেই শনাক্ত করেন মেয়েটিকে।”
চাচা এমদাদুল আরও বলেন, মরদেহটি ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, নমুনা সংগ্রহের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, মরদেহ হস্তান্তরের পর রাইসাকে নেওয়া হবে গ্রামের বাড়িতে, সেখানেই দাফন সম্পন্ন হবে।
রাইসা মণির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহপাঠী, শিক্ষক ও স্থানীয়রা শোক প্রকাশ করছেন।
এই ট্র্যাজেডি শুধু একটি পরিবার নয়, পুরো জাতির জন্য এক হৃদয়বিদারক স্মৃতি হয়ে থাকবে।