২০২৪ সালে টপ সাসটেইনেবল ব্যাংকের মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছে এনসিসি ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল্যায়নে টেকসই আর্থিক অনুশীলনের জন্য ব্যাংকটি দেশের সেরা দশটি সাসটেইনেবল ব্যাংকের তালিকায় স্থান পায়।
এই সাফল্য উদযাপনে সোমবার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শামসুল আরেফিনের নেতৃত্বে কেক কেটে আনন্দ উদযাপন করা হয়। এছাড়াও অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম খুরশীদ আলম, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহবুব আলম, মো. জাকির আনাম, মো. মনিরুল আলম ও মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, টেকসই ও নারী ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান নিহাত মুমতাজ এবং প্রধান কার্যালয়ের সব বিভাগের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুল আরেফিন এ উপলক্ষে বক্তব্যে বলেন, “এই সম্মাননা আমাদের ধারাবাহিক টেকসই ব্যাংকিং চর্চার ফল। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইডলাইনের আলোকে আমাদের আন্তরিক প্রচেষ্টার স্বীকৃতি।”
বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব পাঁচটি সূচকে টেকসই ব্যাংক নির্ধারণ করেছে, সেগুলোতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখিয়েছে এনসিসি ব্যাংক। সূচকগুলো হলো টেকসই অর্থায়ন, কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর), সবুজ প্রকল্পে পুনঃঅর্থায়ন, টেকসই মূল ব্যাংকিং সূচক এবং ব্যাংকিং সেবার পরিসর।
২০২৪ সালে ব্যাংকটির আমানত ১৬ শতাংশ, ঋণ বিতরণ ৫ শতাংশ, টেকসই অর্থায়ন ৪৯৭ শতাংশ, সবুজ অর্থায়ন ২৭২ শতাংশ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা (এসএমই) খাতে ঋণ ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সিএসআর কার্যক্রমের আওতায় এনসিসি ব্যাংক দেশের ১৫ হাজারেরও বেশি প্রান্তিক কৃষককে কৃষি উপকরণ সরবরাহ করেছে।
ব্যাংকের “এনসিসি ইসলামিক ব্যাংকিং” ও “এনসিসি পরমা” নামে নারীর ক্ষমতায়নের উদ্যোগ ইতোমধ্যে গ্রাহকদের মধ্যে প্রশংসিত হয়েছে।
ডিজিটাল সেবায় “এনসিসি অলওয়েজ” স্মার্ট অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকদের জন্য ব্যাংকিং আরও সহজ ও ব্যবহারবান্ধব হয়েছে।
শেষে শামসুল আরেফিন বলেন, “ভবিষ্যতে আরও টেকসই অর্থায়নে জোর দেওয়া, ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা এবং ব্যাংকিং সূচকে শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখাই আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে।”
এই স্বীকৃতি এনসিসি ব্যাংকের টেকসই ও দায়িত্বশীল ব্যাংকিং-এর ধারাবাহিকতারই প্রতিফলন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।