ঢাকার উত্তরা এলাকায় মাইলস্টোন স্কুলে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর অন্তত ২৫ শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তারা বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চিকিৎসকদের বরাতে জানা গেছে, এসব শিশুদের শরীরের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত অংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক।
সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে কুর্মিটোলার এ কে খন্দকার ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই বিমানটি কারিগরি ত্রুটির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইলস্টোন স্কুল ভবনের পাশে বিধ্বস্ত হয়। তখন স্কুলের ক্লাস চলছিল। আইএসপিআর জানায়, দুর্ঘটনায় পাইলটসহ কমপক্ষে ২০ জন নিহত এবং ১৭১ জন আহত হয়েছেন।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, দুর্ঘটনার সময় স্কুল গেটের সামনে বিমানটি ভেঙে পড়ে। শিক্ষার্থীরা তখন ক্লাসে অবস্থান করছিল। দুর্ঘটনার পর আহতদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় ৭ শিশুর মরদেহ শনাক্তের অযোগ্য, ডিএনএ পরীক্ষায় পরিচয় নিশ্চিতের চেষ্টা
চিকিৎসকদের মতে, দগ্ধ শিশুদের মধ্যে অনেকের ফুসফুসেও আঘাত লেগেছে, যা চিকিৎসাকে আরও জটিল করে তুলছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) রয়েছেন।
দুর্ঘটনার পরপরই দেশ-বিদেশ থেকে শোক প্রকাশ করতে থাকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রপ্রধানরা। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুস, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শেহবাজ শরিফসহ বিভিন্ন দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা শোক ও সমবেদনা জানান।
দুর্ঘটনার তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি সরকারি পর্যায় থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা ও সহায়তা নিশ্চিতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন | “হারিয়ে গেছে আমার বুকের টুকরো” — উত্তরা দুর্ঘটনার পর হাসপাতালগুলোতে কান্নার আহাজারি
উল্লেখ্য, আহতদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। যারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তাদের অবস্থা গভীর উদ্বেগজনক। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের সর্বোচ্চ যত্নে চিকিৎসা চালানো হচ্ছে।