চট্টগ্রামে বেসরকারি ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোগুলোর (আইসিডি) মাধ্যমে রপ্তানি ও খালি কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের জন্য নির্ধারিত চার্জে বড় ধরনের বৃদ্ধি আনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশন (বিকডা)।
সংগঠনটি ১৫ জুলাই এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এই নতুন হারে চার্জ কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, রপ্তানি পণ্যের হ্যান্ডলিং চার্জ বর্তমান হারের তুলনায় ৩৬ থেকে ৪৪ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে, খালি কনটেইনারের ক্ষেত্রে চার্জ বাড়বে সর্বোচ্চ ৩১.৮ শতাংশ পর্যন্ত। তবে আমদানি পণ্যের হ্যান্ডলিং চার্জ অপরিবর্তিত থাকবে।
নতুন হার অনুযায়ী, ২০ ফুট রপ্তানি কনটেইনারের হ্যান্ডলিং চার্জ Tk6,187 থেকে Tk9,900 হয়েছে। ৪০ ফুট ও ৪০ ফুট হাই-কিউব কনটেইনারের ক্ষেত্রে চার্জ Tk8,250 থেকে Tk13,200 পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
৪৫ ফুট ও ৪০ ফুট হাই-কিউব কনটেইনারের জন্য Tk14,900 নির্ধারণ করে একটি পৃথক চার্জ চালু করা হয়েছে, যা আগে ৪০ ফুটের সঙ্গে একই হারে ছিল।
গ্রাউন্ড রেন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ ফুট কনটেইনারের জন্য Tk150 এবং ৪০ ফুট বা তার চেয়ে বড় কনটেইনারের জন্য Tk300।
এছাড়া ল্যান্ডিং চার্জ প্রতি টন Tk270, ডকুমেন্টেশন ফি Tk450 এবং লিফট-অন/লিফট-অফ চার্জ Tk750 নির্ধারণ করা হয়েছে।
খালি কনটেইনার পরিবহনের ফি ২০ ফুটের জন্য Tk1,705 থেকে বাড়িয়ে Tk2,500 এবং ৪০ ফুট হাই-কিউবের জন্য Tk3,410 থেকে Tk4,000 করা হয়েছে।
বিকডার মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শ্রম ও যন্ত্রপাতির খরচ বৃদ্ধি, রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়, টাকার অবমূল্যায়ন, ব্যাংক সুদের হার বৃদ্ধি এবং সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় এনে এই হার বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পোর্ট ও ফ্রেইট চার্জ সাধারণত মার্কিন ডলারে পরিশোধ করা হলেও আইসিডি চার্জ এখনো স্থানীয় মুদ্রায় নেওয়া হয়, যা পরিচালনাকারীদের জন্য আর্থিক ভারসাম্য রক্ষা করা কঠিন করে তুলেছে।
এদিকে রপ্তানিকারকদের মধ্যে, বিশেষত পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা নতুন এই হারের কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কারণ রপ্তানির বড় একটি অংশ এই বেসরকারি আইসিডিগুলোর ওপর নির্ভরশীল।
বর্তমানে চট্টগ্রামে ১৯টি বেসরকারি আইসিডি আমদানি ও রপ্তানির কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং ২টি আইসিডি খালি কনটেইনার ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত রয়েছে।
নতুন চার্জ কাঠামো কার্যকর হলে রপ্তানিমুখী খরচ বাড়বে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে বিকডা বলছে, এটি না করলে আইসিডিগুলোর কার্যক্রম টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।