২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারত ও শ্রীলংকার যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে এক গ্রুপে রাখা হবে না বলে আভাস মিলেছে।
এই বিষয়টি নিয়ে আইসিসির বার্ষিক সম্মেলনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, যা আগামী ১৭ থেকে ২০ জুলাই সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হবে।
আইসিসির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে ভারতীয় বোর্ড (বিসিসিআই) চায় না যে, তাদের দল পাকিস্তানের সঙ্গে একই গ্রুপে খেলুক।
পিটিআই প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপড়েনের কারণে ম্যাচ আয়োজন নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। আইসিসির ইভেন্টেও এই দুই দেশের মুখোমুখি হওয়া এখন অনিয়মিত হয়ে পড়েছে।
বিসিসিআই সূত্রে জানানো হয়েছে, আইসিসির ইভেন্টে দুই দল এক গ্রুপে না থাকলেও নক-আউট পর্বে দেখা হয়ে যেতে পারে। তবে শুরু থেকেই পৃথক গ্রুপে রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
আইসিসির বর্তমান চেয়ারম্যান জয় শাহ, যিনি পূর্বে বিসিসিআইয়ের সচিব ছিলেন, এই প্রথমবারের মতো বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন। তার নেতৃত্বেই বিষয়টি আলোচনায় আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্মরণযোগ্য যে, ২০২৩ সালের এশিয়া কাপে ভারতীয় দল পাকিস্তানে না খেলায় টুর্নামেন্টের ফরম্যাট পরিবর্তন করে হাইব্রিড মডেলে আয়োজন করা হয়। ভারতের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হয় শ্রীলংকায় এবং টুর্নামেন্টের ফাইনালও পাকিস্তানের বাইরে অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া চলতি বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ক্ষেত্রেও পাকিস্তান একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়। ভারতের ম্যাচগুলো আয়োজিত হয় দুবাইয়ে এবং ফাইনালও পাকিস্তানের বাইরে অনুষ্ঠিত হয়। উভয় টুর্নামেন্টেই চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত।
এছাড়া ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিতব্য নারী বিশ্বকাপেও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হবে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ক্রীড়া রাজনীতির প্রভাব আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের কাঠামো ও উত্তেজনা নষ্ট করছে। দুই দেশের ভক্তদের জন্য এটি হতাশার হলেও নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক বাস্তবতায় এ সিদ্ধান্তগুলো গৃহীত হচ্ছে।
আইসিসির জুলাই সম্মেলনে এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলে পরবর্তী বিশ্বকাপের গ্রুপিং ও সূচি নির্ধারণে বড় পরিবর্তন দেখা যেতে পারে।