Saturday, August 2, 2025
Homeজাতীয়তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগে ঐকমত্য, চূড়ান্ত প্রস্তাব আসছে মঙ্গলবার

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগে ঐকমত্য, চূড়ান্ত প্রস্তাব আসছে মঙ্গলবার

নির্বাচিত প্রস্তাবনা চূড়ান্তের পথে, ‘জুলাই সনদ’ ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সম্পন্নের লক্ষ্যে এগোচ্ছে কমিশন

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ব্যাপক ঐকমত্য গড়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলি রিয়াজ।

রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের সংলাপের পঞ্চদশ দিনে আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

অধ্যাপক রিয়াজ জানান, দিনের প্রথমার্ধে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাঠামো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। পরবর্তীতে কমিশনের সদস্যরা আলাদাভাবে বসে একটি সংশোধিত ও ঐক্যবদ্ধ প্রস্তাব খসড়া করেন, যেখানে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের পদ্ধতি বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, “আমরা একটি সমন্বিত খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছি এবং এতে অংশগ্রহণকারী অধিকাংশ দলের মধ্যে বিস্তৃত ঐকমত্য দেখা গেছে।”

এ প্রস্তাবের ভাষা ও কাঠামো আগামীকালের (সোমবার) আলোচনা শেষে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে আরও চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান রিয়াজ। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে মঙ্গলবারকে নির্ধারণ করা হয়েছে।

অধ্যাপক রিয়াজ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “আমরা আশাবাদী যে দ্রুতই তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতির পূর্ণাঙ্গ কাঠামো সম্পন্ন হবে। আমাদের লক্ষ্য ‘জুলাই সনদ’ চলতি মাসের শেষের মধ্যে সম্পন্ন করা। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করাই আমাদের উদ্দেশ্য এবং এ লক্ষ্য অর্জনে সব দলই একমত।”

সকালেই জুলাই আন্দোলনের সময় নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যরা ফরেন সার্ভিস একাডেমির সামনে মানববন্ধন করে বিচার দাবিতে তিন দফা দাবি তুলে ধরেন।

এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক রিয়াজ বলেন, “আমরা তাদের প্রতি সহানুভূতি ও শ্রদ্ধা জানাই। আমরা মানববন্ধনের সঙ্গে সম্পূর্ণ একাত্মতা প্রকাশ করছি। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কমিশন জাতীয় সনদ নিয়ে কাজ করছে।”

তিনি জানান, সংলাপের দুই পর্বে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ইতিমধ্যেই ঐকমত্য অর্জিত হয়েছে। কিছু বিষয় এখনও অমীমাংসিত রয়ে গেছে, যা চলমান আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা হবে।

রোববারের সংলাপে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আয়ুব মিয়া, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সাফার রাজ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

সংলাপে অংশ নেয়া ৩০টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি, ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথ তৈরি করতে এ সংলাপ এবং ঐকমত্য গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।

RELATED NEWS

Latest News