রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়েপ এরদোয়ান শুক্রবার এক ফোনালাপে মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন। বিশেষ করে সিরিয়ায় ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা ও তা নিরসনে করণীয় নিয়ে দুই নেতার মধ্যে বিশদ মতবিনিময় হয়।
ক্রেমলিনের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, “রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের মধ্যে একটি টেলিফোন সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির বিষয়ে গভীরভাবে আলোচনা হয়।”
সিরিয়ার সাম্প্রতিক উত্তেজনা নিয়ে দুই নেতা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দ্রুত সংলাপ শুরু করার ওপর জোর দেন তারা। বিবৃতিতে বলা হয়, সিরিয়ার বহুধর্মীয় সমাজের সকল প্রতিনিধির ন্যায়সংগত অধিকার, দেশের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা বজায় রেখে জাতীয় ঐকমত্য ও সংলাপের মাধ্যমে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান দুই রাষ্ট্রপ্রধান।
পুতিন এ সময় এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানান রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তিতে ইস্তাম্বুলে সরাসরি আলোচনা আয়োজনের ইচ্ছা প্রকাশ করার জন্য। তিনি জানান, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে সমস্যা সমাধানে রাশিয়ার অঙ্গীকার অটুট রয়েছে।
এছাড়া, রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়েও দুই নেতা আলোচনা করেন। গত ২৭ জুন অনুষ্ঠিত রুশ-তুর্কি আন্তঃসরকারি বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠকের ফলাফলকে ইতিবাচক হিসেবে মূল্যায়ন করেন তারা।
আলোচনার শেষভাগে দুই নেতা সম্মত হন যে, আলোচিত বিষয়গুলোর ওপর পরবর্তীতেও নিয়মিত যোগাযোগ বজায় থাকবে। ক্রেমলিনের বিবৃতি অনুযায়ী, রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যে সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিসরে সক্রিয় সহযোগিতা চলমান থাকবে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই সংলাপ দুই দেশের আঞ্চলিক প্রভাব এবং সিরিয়া সংকটের সমাধানে তাদের ভূমিকা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা ফেরানো ও বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এ ধরনের কূটনৈতিক উদ্যোগের গুরুত্ব এখন অনেক বেশি।