গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজিত র্যালির সময় সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় নতুন করে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে ৫৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৩৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতেই গোপালগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম আল মামুন মামলাটি দায়ের করেন।
থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজেদুর রহমান জানান, মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে পুলিশ গাড়ি পোড়ানো এবং সদর উপজেলার সাতপার রোডে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ তৈরির মতো কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে।
এর ফলে সহিংসতাকে ঘিরে এখন পর্যন্ত মোট চারটি মামলা হয়েছে, যাতে প্রায় ২,৫০০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলাগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নিষিদ্ধ নেতাকর্মীদের নামও রয়েছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত এসব মামলায় মোট ৩৬০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে, চলমান কারফিউ শনিবার ১৪ ঘণ্টার জন্য শিথিল করেছে জেলা প্রশাসন। সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সাধারণ মানুষ চলাচল করতে পারবেন বলে শুক্রবার রাতেই ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
উল্লেখ্য, গত বুধবারের এনসিপি র্যালির সময় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এতে পাঁচজন নিহত হন। অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মীরা র্যালিতে হামলা চালায়।
এই ঘটনার পর থেকে গোপালগঞ্জ জেলাজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সড়কগুলো প্রায় ফাঁকা, মানুষের মধ্যে আতঙ্ক লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার থেকে রাস্তায় সীমিত কিছু ছোট যানবাহন চলাচল করলেও জনসাধারণ প্রায় ঘরবন্দি অবস্থায় আছেন।
কারফিউ শিথিলের পর কিছু দোকানপাট খুললেও ক্রেতার উপস্থিতি ছিল অপ্রতুল। অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সপ্তাহিক ছুটির কারণে বন্ধই ছিল। সীমিত আকারে কিছু যান চলাচল করলেও পরিবহন ব্যবস্থা পুরোপুরি সচল হয়নি।
গোপালগঞ্জে পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক থাকলেও প্রশাসনের নজরদারি ও নিয়মিত টহল অব্যাহত রয়েছে।