শরীয়তপুরের ভেদারগঞ্জ উপজেলায় নার্সিংহপুর ফেরিঘাটের লিজ নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে চাঁদপুর-শরীয়তপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে।
শুক্রবার ভোররাত থেকেই চাঁদপুরের সাবেক ছাত্রদল নেতা জিসান বালা ও তার অনুসারীরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের দাবি, প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের নেতা মোমিন দিদার বেআইনিভাবে ফেরিঘাট দখল করে নিয়েছেন।
অবরোধের ফলে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস আটকে পড়েছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা সকাল থেকে তীব্র গরমে ভোগান্তিতে পড়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত এক বছর ধরে মোমিন দিদার ফেরিঘাটের লিজধারী ছিলেন। তবে চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ফেরিঘাটের নতুন লিজ পেয়েছেন সাখিপুর থানা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব জিসান বালা।
লিজ বাতিল হওয়ার পর মোমিন দিদার আদালতে মামলা করেছেন এবং ৭৫ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, যখন মোমিন দিদার reportedly ঘাট পুনরায় দখল করেন। এর প্রতিবাদে রাত ৩টার দিকে জিসান বালার সমর্থকরা মহাসড়ক অবরোধ শুরু করেন।
এ নিয়ে দুই পক্ষ ঘাট এলাকায় অবস্থান নিলে রাতভর উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয় এবং তা শুক্রবার সকাল পর্যন্ত চলতে থাকে।
মোমিন দিদার বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে এই লিজে আছি। জিসান বালা বেআইনিভাবে সড়ক অবরোধ করেছে। আমি সাখিপুর থানায় বিষয়টি জানিয়েছি।”
অন্যদিকে, জিসান বালার চাচা ও ভেদারগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সভাপতি মাসুম বালা বলেন, “আমার ভাতিজা বৈধভাবে ২০২৫–২৬ অর্থবছরের জন্য লিজ পেয়েছে। কিন্তু আগের লিজধারী জোরপূর্বক আমাদের লোকজনকে ঘাট থেকে বের করে দিয়েছে।”
শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম জানান, “জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মাঠে রয়েছে এবং যেকোনো সহিংসতা রোধে প্রস্তুত রয়েছে।”
সড়ক অবরোধ কবে নাগাদ উঠবে তা নিয়ে নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।