জার্মানির অন্যতম উদীয়মান ফুটবল তারকা ফ্লোরিয়ান ভির্টজ এই গ্রীষ্মে বায়ার্ন মিউনিখের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে লিভারপুলে যোগ দিয়েছেন। আর্থিক কোনো প্রলোভন নয়, বরং নতুন ম্যানেজার আর্নে স্লটের কৌশলগত পরিকল্পনা এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিই এই সিদ্ধান্তে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে বলে জানিয়েছেন খেলোয়াড়ের বাবা এবং সহ-এজেন্ট হ্যান্স-ইয়োয়াখিম ভির্টজ।
শুরুতে রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটির আগ্রহ থাকলেও শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড ও জার্মানির দুই চ্যাম্পিয়নের মধ্যে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি হয়।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ‘স্পিগেল’-কে হ্যান্স-ইয়োয়াখিম বলেন, “শেষ পর্যন্ত এটি ছিল খেলার পারিপার্শ্বিকতার বিষয়। আর্থিক দিক থেকে বড় কোনো পার্থক্য ছিল না। কিন্তু খেলোয়াড় হিসেবে ফ্লোরিয়ানের ভূমিকা কোথায় কীভাবে গড়ে উঠবে, সেটাই মুখ্য ছিল।”
বায়ার্নের প্রভাবশালী দুই ব্যক্তিত্ব উলি হোয়েনেস ও কার্ল-হেইঞ্জ রুমেনিগে ব্যাক্তিগত সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে ভির্টজ পরিবারকে রাজি করাতে চেষ্টা করেছিলেন। এমনকি ২০২২ সালে ফ্লোরিয়ানের চোটের পর সার্জারির দ্রুত ব্যবস্থা করতেও সাহায্য করেছিলেন হোয়েনেস।
তবুও সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলেছে লিভারপুলের নতুন কোচ আর্নে স্লট। ভির্টজের বাবা বলেন, “আর্নে স্লট কৌশলগত দিক থেকে ফ্লোরিয়ানকে মুগ্ধ করেছেন। তিনি খুব মানবিক এবং স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছেন কীভাবে ফ্লোরিয়ান তার শক্তি কাজে লাগাতে পারবে, বিশেষত ইংলিশ ফুটবলের গতি ও ডায়নামিক চরিত্রের মধ্যে।”
লিভারপুলের ট্রেনিং ব্যবস্থা এবং খেলোয়াড়দের বিকাশের সুযোগও পরিবারটিকে আকৃষ্ট করে। ভির্টজের মা কারিন গ্রস এবং বাবা মিলে পুত্রের এই সিদ্ধান্তে একমত হন।
“তিনজনের মতামত এক ছিল। আমরা একত্রে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ফ্লোরিয়ান এটিকে কেবল ক্যারিয়ার নয়, জীবনের একটি নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবেও দেখছে,” বলেন হ্যান্স-ইয়োয়াখিম ভির্টজ।
ফ্লোরিয়ানের এই পদক্ষেপ শুধু একটি ক্লাব পরিবর্তনের ঘটনা নয়, এটি ভবিষ্যতের একজন বিশ্বমানের খেলোয়াড়ের বিকাশের পথচলার সূচনা বলেও মনে করছেন ফুটবল বিশ্লেষকরা।