Friday, July 18, 2025
Homeআন্তর্জাতিকএপস্টেইন বিতর্কে ট্রাম্পের চিঠি নিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্ট, ট্রাম্পের দাবি এটি...

এপস্টেইন বিতর্কে ট্রাম্পের চিঠি নিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্ট, ট্রাম্পের দাবি এটি ভুয়া

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের অনুসন্ধানে উঠে এল এপস্টেইনের জন্মদিনে ‘চিত্রাঙ্কিত’ চিঠিতে ট্রাম্পের স্বাক্ষর, ট্রাম্প বলছেন ‘পুরোটাই ভুয়া’

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যায়বিচার বিভাগের (DOJ) এপস্টেইন ফাইল প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত ঘিরে চলমান বিতর্কের মাঝেই নতুন করে আলোচনায় এসেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ট্রাম্পের সঙ্গে জেফরি এপস্টেইনের যোগাযোগ সংক্রান্ত নতুন তথ্য নিয়ে তারা একটি প্রতিবেদন তৈরি করছে।

প্রথমে ‘স্ট্যাটাস রিপোর্ট’ নামক একটি মাধ্যমে এই তথ্য ফাঁস হয়, যেখানে বলা হয়, ট্রাম্প নিজে নাকি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রধান সম্পাদককে ফোন করে প্রতিবেদনটি বন্ধ করতে অনুরোধ করেন।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জেফরি এপস্টেইনের ৫০তম জন্মদিনে একটি চিঠি পাঠানো হয়, যা পরিকল্পনা করেছিলেন তার সহযোগী ঘিসলেন ম্যাক্সওয়েল। সেই চিঠিতে বহু পরিচিত ব্যক্তির স্বাক্ষর ছিল, যার মধ্যে একজন ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

চিঠিটি ছিল অস্বাভাবিক ধরনের। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি টাইপ করা শব্দে একটি নগ্ন নারীর চিত্রে সাজানো ছিল, যার বুকের অংশ দেখাতে দুটি বক্ররেখা এবং নাভির নিচে একটি সাইনেচার “ডোনাল্ড” দিয়ে পিউবিক হেয়ার বোঝানো হয়েছে।

এই প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, ট্রাম্পের স্বাক্ষর থাকা চিঠির ভাষা ছিল অশ্লীল এবং স্পষ্টভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ বিষয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ট্রাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে জানান, “এই চিঠি আমার না, এটা সম্পূর্ণ ভুয়া। আমি কখনও কারও ছবি আঁকি না, আর এটি আমার ভাষাও নয়।”

ট্রাম্প আরও বলেন, “এটি একটি মিথ্যা ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল স্টোরি। আমি কোনো নারী চিত্র আঁকি না, কখনও আঁকিনি। এটি আমার লেখা নয়, আমার শব্দ নয়।”

প্রসঙ্গত, এই বিতর্কের পেছনে রয়েছে ৬ জুলাইয়ের একটি স্মারক, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ জানিয়েছে যে এপস্টেইন সংক্রান্ত আর কোনো তথ্য প্রকাশ করা হবে না। সেই সঙ্গে তারা অস্বীকার করেছে যে এমন কোনো ‘ব্ল্যাক বুক’ আছে, যেখানে তার গ্রাহকদের তালিকা ছিল এবং যেটি দিয়ে মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্টার খাদিজা সাফদার ও জো প্যালাজ্জোলোর অনুসন্ধানে যে চিঠির কথা বলা হয়েছে, তা নিয়ে বিতর্ক আরও ঘনীভূত হয়েছে। এখনো ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, তবে বিতর্কিত চিঠিটি নতুন করে আলোড়ন তুলেছে রাজনৈতিক ও সাংবাদিক মহলে।

এই ঘটনাটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে ট্রাম্পের ভাবমূর্তিতে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে ট্রাম্প তার অবস্থানে অনড় রয়েছেন যে, এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা।

এখন দেখার বিষয়, এই বিতর্কের পর DOJ বা অন্য কোনো সংস্থা নতুন করে তদন্তে নামে কি না। কারণ, এপস্টেইন সম্পর্কিত নথি ও ব্যক্তিগত যোগাযোগ দীর্ঘদিন ধরেই জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।

RELATED NEWS

Latest News