প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐক্য কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন, জুলাই সনদ তৈরির সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া যেন স্বচ্ছ ও জনগণের কাছে দৃশ্যমান হয়।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐক্য কমিশনের এক বৈঠকে তিনি এই নির্দেশনা দেন।
কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ইউনূস নিজেই। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক এবং ড. মোহাম্মদ আয়ুব মিয়া।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বৈঠকে কমিশনের কাজের অগ্রগতির বিষয়ে অধ্যাপক ইউনূসকে অবহিত করা হয়।
কমিশন সদস্যরা জানান, তারা ৫ আগস্টের মধ্যেই “জুলাই সনদ” চূড়ান্ত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।
অধ্যাপক ইউনূস কমিশনের সদস্যদের একাগ্রতা ও অবদানের জন্য অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, “এটি একটি ঐতিহাসিক উদ্যোগ। জনতার অভ্যুত্থানের প্রত্যাশা এই সনদের মাধ্যমে প্রতিফলিত হবে। পুরো প্রক্রিয়াটি জনগণের চোখের সামনে হতে হবে, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।”
কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় দফা সংলাপে আটটি ইস্যুতে ইতিমধ্যে ঐক্যমতে পৌঁছানো গেছে।
তিনি আরও জানান, বাকি সাতটি ইস্যুতে সমঝোতার জন্য সংলাপ চলছে।
জাতীয় ঐক্য কমিশনের সদস্যদের মতে, এই সনদ দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক ভিত্তি স্থাপন করবে। এটি শুধু একটি রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীর দলিল নয়, বরং জনগণের দাবি ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই সনদের খসড়া তৈরির পুরো প্রক্রিয়ায় গণশুনানি, পেশাজীবী ও নাগরিক সমাজের মতামত গ্রহণ করা হয়েছে।
দেশজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও তরুণ প্রজন্মের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে এই সনদকে সামনে রেখে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্থিতিশীল রাজনৈতিক কাঠামো গঠনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন সংশ্লিষ্টরা।