গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ঘিরে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে বুধবার সন্ধ্যা ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জেলাজুড়ে কারফিউ জারি করেছে সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ এবং তাদের সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা লাঠি ও ইটপাটকেলসহ বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেয়। এতে করে শহরজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সেনাবাহিনী ও র্যাবের টহল জোরদার করা হয়।
সদর উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। জেলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এই আদেশ কার্যকর করেন। যদিও এ আদেশ কতক্ষণ বলবৎ থাকবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, সহিংসতা এড়াতে সদর এলাকায় বিজিবির চারটি প্লাটুন মোতায়েন করা হয়েছে।
শহরের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তোলে।
এদিকে, গোপালগঞ্জে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলার ঘটনায় এক বিবৃতিতে অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, “সহিংসতার কোনো স্থান এই জাতিতে নেই। যারা এই নৃশংসতার জন্য দায়ী, তাদের বিচার হবেই।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “তরুণদের নিজেদের আন্দোলনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার অধিকার রোধ করাটা মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন।”
সরকার জানায়, এই হামলার জন্য যারা দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং একটি শান্তিপূর্ণ জাতি গঠনে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।