স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডি) ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বিল আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম জানান, প্রাপ্ত অভিযোগ যাচাই করে এনফোর্সমেন্ট টিম প্রধান প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে বিল সংক্রান্ত নথি সংগ্রহ করেছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের কাজের নথিও খতিয়ে দেখা হয়। পরবর্তীতে কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এদিকে, দেশের বিভিন্ন স্থানের চারটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসেও এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালিয়েছে দুদক।
যশোরের মণিরামপুর:
নেহালপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সেবাপ্রদান কার্যক্রমে হয়রানি ও ঘুষ আদায়ের অভিযোগে অভিযান চালায় যশোর জেলা কার্যালয়। এক ভুক্তভোগীর অভিযোগে জানা যায়, ১৯ হাজার টাকার দাখিলা বাবদ তার কাছ থেকে আদায় করা হয় ৮০ হাজার টাকা। তদন্তে আরও জানা যায়, নামজারির জন্য একজনের কাছ থেকে ৪ হাজার টাকা অতিরিক্ত নেওয়া হয়েছে।
মাগুরার শ্রীপুর:
নাকোল ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সেবা গ্রহণে দালাল নির্ভরতা ও অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালানো হয়। দুদকের টিম সরাসরি সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায়।
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ:
দক্ষিণ জিউধরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসেও অনিয়ম, অতিরিক্ত অর্থ আদায় এবং ঘুষের অভিযোগে অভিযান চালানো হয়। ছদ্মবেশে তথ্য সংগ্রহের পর জানা যায়, সরকার নির্ধারিত ফিস ছাড়াও বাড়তি অর্থ আদায় না করলে সেবা দেওয়া হয় না। অফিসে কোনো সিটিজেন চার্টারও টাঙানো ছিল না।
এই অভিযানে দুদক সংশ্লিষ্ট উপজেলা সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) মনিটরিং জোরদার করার অনুরোধ জানিয়েছে।
দুদকের এসব অভিযান থেকে উঠে আসা প্রাথমিক তথ্যে বড় পরিসরে দুর্নীতি ও প্রশাসনিক দুর্বলতার চিত্র স্পষ্ট হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, রেকর্ড বিশ্লেষণ ও তথ্য যাচাই শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সুশাসন নিশ্চিত করতে দুদকের নিয়মিত তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।