শহীদ মিনারে সোমবার অনুষ্ঠিত হলো ‘মোরা ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম’ শিরোনামে একটি ব্যতিক্রমী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কনসার্ট ও ড্রোন শো। এটি জুলাই বিদ্রোহের স্মৃতি জাগিয়ে তুলতে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই আয়োজন করে। অনুষ্ঠান আয়োজনে সহায়তা করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, সমাজকল্যাণ ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমিন সোনিয়া মুর্শিদ, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস শেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান, সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব মো. মফিদুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ, সরকারি কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের প্রতিনিধিরা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পকলা একাডেমির কণ্ঠশিল্পীরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ এবং জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সায়ান। সায়ান পরে একক পরিবেশনাও করেন।
অনুষ্ঠানে “জুলাই নারী দিবস” উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। পরে দেখানো হয় ‘দীপক কুমার গোস্বামী বলছেন’ এবং ‘জুলাই বিষাদ সিন্ধু’ চলচ্চিত্র দুটি।
জুলাই বিদ্রোহের অংশগ্রহণকারী ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে ‘ইলা লা লা লা লা’ ব্যান্ড সঙ্গীত পরিবেশন করে।
১৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী আবাসিক হল থেকে যে আন্দোলনের নবজাগরণ শুরু হয়েছিল, সেটি ড্রোন শোর মাধ্যমে পুনর্নির্মাণ করা হয় শহীদ মিনারের আকাশে।
ড্রোন শোর প্রথম ধাপে দেখানো হয় কিভাবে বাংলাদেশ জুলাইয়ের পথে পৌঁছায়। দ্বিতীয় ধাপে দেখানো হয় ১৪ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সূচনা।
অনুষ্ঠানটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় স্থাপিত বড় বড় স্ক্রিনের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়, যেখানে ছাত্রছাত্রীসহ সাধারণ দর্শকেরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
জুলাই বিদ্রোহের স্মৃতি সংরক্ষণ ও নতুন প্রজন্মকে তা সম্পর্কে জানাতে এই আয়োজন একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে প্রশংসা কুড়িয়েছে।