রাজধানীর মহাখালীতে বিআরটিএ কার্যালয়ের সামনে সিএনজি অটোরিকশা চালকদের অবরোধে ১০ ঘণ্টা বন্ধ ছিল যান চলাচল। রোববার সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এ বিক্ষোভ রাত ৭টা ৩০ মিনিটে শেষ হয়। পুরো সময়জুড়ে সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট ও জনদুর্ভোগ।
বিক্ষোভকারী চালকদের দাবি, তাঁদের যানবাহনগুলো ঢাকা জেলার রেজিস্ট্রেশনের আওতায়। কিন্তু বর্তমান বিধি অনুযায়ী, শুধু ঢাকা মেট্রোর রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত সিএনজি অটোরিকশা রাজধানীতে চলাচলের অনুমতি পায়। চালকদের দাবি, তাঁদেরও ঢাকা মেট্রো এলাকায় চলাচলের অনুমতি দিতে হবে।
একজন চালক বলেন, “আমাদের চলাচলের এলাকা সীমিত করে দেওয়া হয়েছে। বিআরটিএ আওয়ামী লীগের এবং মেট্রোরেজিস্ট্রেশনধারী সিএনজি সিন্ডিকেটের দালাল।”
তিনি আরও বলেন, “বিআরটিএ চেয়ারম্যানই সাধারণ মানুষের এই দুর্ভোগের জন্য দায়ী। যদি আমাদের দাবি মানা হতো, তবে এমন পরিস্থিতি হতো না।”
বিক্ষোভকারীদের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, তারা নিয়মিত সরকারকে রোড ট্যাক্স পরিশোধ করলেও বিআরটিএ তাদের হয়রানি করছে, গাড়ি আটক ও জরিমানা করছে।
অবরোধ চলাকালে অ্যাম্বুলেন্স ও বিমানবন্দরগামী যানবাহন ছাড়া অন্যসব যান চলাচল একপ্রকার বন্ধ ছিল।
মহাখালীতে অপেক্ষারত একজন পথচারী মনসুর বলেন, “দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর আমি হেঁটে ডাক্তারের কাছে যেতে বাধ্য হয়েছি।”
একজন চাকরি প্রার্থী নাম প্রকাশ না করে বলেন, “এই অবরোধের কারণে ইন্টারভিউ মিস করেছি।”
জাত্রাবাড়ীগামী এক মোটরসাইকেল আরোহী আব্দুস সালাম বলেন, “এই আন্দোলনের কোনো যুক্তি নেই। দুই ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি।”
আরেক বাইকচালক বলেন, “বিআরটিএ অফিসের ভিতরে বসে তারা যত ইচ্ছা বিক্ষোভ করুক, কিন্তু রাস্তা বন্ধ করলে সাধারণ মানুষ কষ্ট পায়। আমি এখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে আছি। অফিসে কী বলব?”
বিকেল গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা ধীরগতিতে যান চলাচল শুরু হলেও পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে সময় লাগে রাত পর্যন্ত।