Monday, July 14, 2025
Homeআন্তর্জাতিকমিয়ানমার সেনাঘাঁটিতে হামলার পর পাঁচ শতাধিক সেনা ও বেসামরিক লোকের থাইল্যান্ডে আশ্রয়

মিয়ানমার সেনাঘাঁটিতে হামলার পর পাঁচ শতাধিক সেনা ও বেসামরিক লোকের থাইল্যান্ডে আশ্রয়

কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির হামলার মুখে মিয়ানমার সেনাদের অবস্থান ধরে রাখতে ব্যর্থতা, সীমান্তে থাই বাহিনীর নজরদারি জোরদার

মিয়ানমারে চলমান সংঘর্ষের নতুন মাত্রায় শনিবার দেশটির কারেন রাজ্যে একটি সেনাঘাঁটিতে জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (KNLA) হামলা চালানোর পর পাঁচ শতাধিক বেসামরিক নাগরিক ও সেনা সদস্য থাইল্যান্ডে পালিয়ে যায়।

থাই সেনাবাহিনী জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ৩টার দিকে কারেন রাজ্যের একটি সেনাঘাঁটিতে হামলা চালায় KNLA যোদ্ধারা। মিয়ানমার সেনারা পাল্টা প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত অবস্থান ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়।

থাইল্যান্ড সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, “মিয়ানমার সেনারা গোলা-বারুদের সহায়তা চাইলেও তারা শেষ পর্যন্ত অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি।”

হামলার পর ১০০ জন মিয়ানমার সেনা এবং ৪৬৭ জন বেসামরিক নাগরিক থাইল্যান্ডের সীমান্ত পেরিয়ে আসে। থাই সেনা ও পুলিশ সদস্যরা তাদের নিরস্ত্র করে চিকিৎসা ও মানবিক সহায়তা প্রদান করে বলে জানানো হয়েছে।

থাই কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের তাক প্রদেশে সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে যাতে কোনো বিদেশি সশস্ত্র বাহিনী তাদের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করতে না পারে।

KNLA-র রাজনৈতিক শাখার নেতা স থামাইন তুন বলেন, “সীমান্তের কাছে সংঘর্ষ হয়েছে এবং আমাদের যৌথ বাহিনী সেনাবাহিনীর কিছু ফ্রন্ট পোস্ট দখল করেছে। কেউ কেউ আমাদের পক্ষে চলে এসেছে, আবার কেউ থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছে।”

কারেন জাতিগোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরেই মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছে এবং বর্তমানে সীমান্ত অঞ্চলে সামরিক জান্তার নিয়ন্ত্রণ প্রতিরোধে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮১ হাজার শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থী থাইল্যান্ডে অবস্থান করছে।

KNLA গত কয়েক দশক ধরে মিয়ানমারের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বসবাসরত কারেন জনগণের অধিক স্বায়ত্তশাসনের লক্ষ্যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

RELATED NEWS

Latest News