জ্যানিক সিনার বলেছেন, ফরাসি ওপেনে কার্লোস আলকারাজের বিরুদ্ধে কষ্টদায়ক হারের মানসিক যন্ত্রণা তাকে উইম্বলডনের ফাইনালে জয়ের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
রোববার অল ইংল্যান্ড ক্লাবের সেন্টার কোর্টে অনুষ্ঠিত ফাইনালে আলকারাজকে ৪-৬, ৬-৪, ৬-৪, ৬-৪ সেটে হারিয়ে উইম্বলডন শিরোপা জিতলেন ইতালির এই তরুণ তারকা। এর মাধ্যমে রোলাঁ গ্যারোরসে পাঁচ সেটের সেই বেদনাদায়ক পরাজয়ের প্রতিশোধও নিলেন তিনি।
ফাইনালের পর সিনার বলেন, “সবচেয়ে বড় দিক ছিল মানসিকভাবে প্রস্তুতি। প্যারিসে অনেক কঠিনভাবে হেরেছিলাম। তবে আপনি কীভাবে জিতলেন বা হারলেন তা নয়, আপনি কী ভুল করেছিলেন এবং তা থেকে কী শিখলেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ। সেটিই করেছি আমরা, এবং এ কারণেই আজ ট্রফি হাতে।”
২৩ বছর বয়সী এই তারকা ইতালির ইতিহাসে প্রথম পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে উইম্বলডন জেতার কৃতিত্ব অর্জন করলেন।
“এটা সত্যিই বিশেষ কিছু। ম্যাচের আগে আমরা কথা বলছিলাম, ছোটবেলায় কখনো ভাবিনি এমন জায়গায় পৌঁছাতে পারব,” বলেন সিনার। “এটা ছিল শুধু একটা স্বপ্ন।”
অন্যদিকে, ফাইনালে পরাজিত হলেও আলকারাজ কোনো আফসোস করেননি।
বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে দুই নম্বরে থাকা স্প্যানিশ তারকা বলেন, “হারটা কঠিন, তবে সিনারকে অভিনন্দন জানাই। ট্রফিটা তার প্রাপ্য। সে দুর্দান্ত খেলেছে।”
উল্লেখ্য, উইম্বলডনে এটি ছিল আলকারাজের টানা তৃতীয় ফাইনাল। তবে এবার সিনারের কাছে হার মানতে হয়েছে তাকে।
আলকারাজ বলেন, “সিজনের শুরুটা কঠিন ছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে আবার কোর্টে আনন্দ ফিরে পেয়েছি। উইম্বলডন সবসময় আমার কাছে বিশেষ। এখানে খেলতে এসে আমি যেন ঘরে ফিরে এসেছি এমনই মনে হয়। এমন পরিবেশে খেলাটাই এক অভিজ্ঞতা।”
এই জয়ের মাধ্যমে সিনার ও আলকারাজের মধ্যে গড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের টেনিস প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও উত্তেজনাকর মোড় নিল। একদিকে আলকারাজের আক্রমণাত্মক খেলা, অন্যদিকে সিনারের দৃঢ় মানসিকতা। সামনে আরও অনেক শিরোপা ভাগাভাগি হবে এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে, এমনটিই ধারণা করছেন টেনিস বিশ্লেষকরা।