রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে লোহা ব্যবসায়ী লালচাঁদ সোহাগকে প্রকাশ্যে হত্যা ‘নৃশংস ও দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
শনিবার পুরান ঢাকার মিল ব্যারাকে পুলিশের একটি বিশেষ কল্যাণ সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
হত্যা ও গণপিটুনির বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, “ঢাকায় যে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।”
তিনি জানান, এর মধ্যে দুজনকে র্যাব ও দুজনকে ডিএমপি আটক করেছে। পরে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা সংস্থা সক্রিয়ভাবে কাজ করছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “আমরা এখন অনেকটাই অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছি। ছোট ছোট ঘটনায়ও বড় ধরনের সংঘর্ষ হচ্ছে। এ প্রবণতা বন্ধে সবারই এগিয়ে আসা উচিত।”
তিনি আরও বলেন, “চাঁদপুর, খুলনা ও চট্টগ্রামে এ ধরনের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হয়েছে। আমরা এ ধরনের প্রতিটি ঘটনার পরপরই ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
মিল ব্যারাকে পুলিশের আবাসন ও খাদ্যসংক্রান্ত পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তাদের সঙ্গে কথা বলা, জীবনযাত্রা কেমন সেটা দেখা এবং প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনাই মূল উদ্দেশ্য। সামনে জাতীয় নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জরুরি।”
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে তিনি বলেন, “আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রস্তুতি শেষ হবে বলে আশা করছি। যদিও নির্বাচন কমিশনই নির্ধারিত তারিখ ঘোষণা করবে, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করা।”
উল্লেখ্য, গত বুধবার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে কংক্রিটের টুকরা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে ব্যবসায়ী লালচাঁদ সোহাগকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই নৃশংস ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে হামলাকারীদের চেহারা স্পষ্টভাবে দেখা যায়। পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এখনো বাকি অভিযুক্তদের শনাক্তে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।