বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদকে অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে পাঠানোর প্রাথমিক পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আন্তঃকালীন সরকার।
শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা এটিকে জবাবদিহিতার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দেখি।”
তিনি জানান, বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক জনগণ এই সিদ্ধান্তে স্বস্তি পেয়েছে এবং স্বচ্ছতা, সততা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আশা জেগেছে।
শফিকুল আলম তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেয়া এক পোস্টে বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি যে একটি স্থায়ী সমাধান অত্যাবশ্যক। যাতে করে সায়মা ওয়াজেদের পদত্যাগ নিশ্চিত হয়, সংশ্লিষ্ট সকল সুবিধা বাতিল হয় এবং জাতিসংঘ ব্যবস্থার মর্যাদা ও নিরপেক্ষতা পুনরুদ্ধার হয়।”
ডব্লিউএইচও থেকে সায়মা ওয়াজেদকে ছুটিতে পাঠানোর বিষয়টি আসে এমন সময়ে, যখন তাঁর বিরুদ্ধে “গুরুতর দুর্নীতি, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের” অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চলছে।
এ বিষয়ে এখনো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি, তবে সরকারের বক্তব্যে এ ইঙ্গিত মিলেছে যে পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের নজরদারি বেড়েছে।
আন্তঃকালীন সরকার মনে করছে, এ ধরনের পদক্ষেপ কেবল ব্যক্তি নয়, গোটা সংস্থার গ্রহণযোগ্যতা ও নিরপেক্ষতা রক্ষায় সহায়ক হবে।
সায়মা ওয়াজেদকে ঘিরে সাম্প্রতিক বিতর্ক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তাঁর অবস্থান থেকে সাময়িকভাবে দূরে থাকার বিষয়টিকে তাই একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সরকারের পক্ষ থেকে এমন অবস্থান জানানোর মধ্য দিয়ে বোঝা যাচ্ছে, তারা এ ইস্যুতে স্বচ্ছ তদন্ত ও নিরপেক্ষ সমাধানের পক্ষে কঠোর অবস্থান নিতে প্রস্তুত।