ঢাকার শ্যামলীর রোড নম্বর ২-এ প্রকাশ্য রাস্তায় এক তরুণের কাছ থেকে শুধু মোবাইল ও টাকা নয়, ছিনতাইকারীরা তার শরীরের জামা ও জুতা পর্যন্ত ছিনিয়ে নিয়েছে। শুক্রবার সকালবেলায় ঘটে যাওয়া এই দুঃসাহসিক ছিনতাইয়ের ঘটনা সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে, যা পরে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ২৭ বছর বয়সী শিমিয়ন অ্যাকমি ল্যাবরেটরিজে কর্মরত একজন কেমিস্ট। তিনি শ্যামলীতে ভাড়া বাসায় থাকেন এবং সেদিন অফিসে যাওয়ার পথে এ হামলার শিকার হন।
শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাউল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, “তিনজন ছিনতাইকারী মোটরসাইকেলে এসে ধারালো অস্ত্রের মুখে শিমিয়নের কাছ থেকে ব্যাগ, মোবাইল, টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তার জামা ও জুতাও খুলিয়ে নেয়।”
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ছাতা হাতে এক যুবক রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন। হঠাৎ পিছন থেকে তিনজন ছিনতাইকারী মোটরসাইকেলে এসে তাকে ঘিরে ফেলে। দুইজন ধারালো অস্ত্র হাতে তাকে ঘিরে ফেলে এবং তৃতীয়জন সামনে মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে পথ আটকে রাখে। দুই ছিনতাইকারী হেলমেট পরা অবস্থায় ছিল, অপরজন ছিল উর্ধ্বাঙ্গ উন্মুক্ত।
ছিনতাই শেষে ছিনতাইকারীরা মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়। ফুটেজটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, শহরের এমন ব্যস্ত এলাকায় দিনে-দুপুরে এ ধরনের ঘটনা কীভাবে ঘটে যেতে পারে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সাধারণ মানুষের উদ্বেগও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। অনেকেই মনে করছেন, পুলিশি নজরদারির ঘাটতি ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় এমন ঘটনা বারবার ঘটছে।
ওসি ইমাউল হক আরও জানান, “শনিবার সন্ধ্যায় শিমিয়ন অজ্ঞাতপরিচয় তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে আমরা অপরাধীদের শনাক্তে কাজ করছি এবং দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
ঘটনার পর থেকে এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন নাগরিক সমাজ।