মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ইস্টপয়েন্টে অবস্থিত একটি ম্যাকডোনাল্ডস রেস্তোরাঁয় ঘটে গেলো মর্মান্তিক ঘটনা। মাত্র ২৬ বছর বয়সী প্রাক্তন কর্মচারী আফেনি মুহাম্মদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তার ব্যবস্থাপক জেনিফার হ্যারিসকে ১৫ বার ছুরিকাঘাত করে হত্যার।
শুক্রবার ইস্টপয়েন্ট পুলিশ জানায়, ঘটনাটি ঘটেছে কাজের পরিবেশে বিতর্কের জেরে। কোর্ট ডকুমেন্ট অনুসারে, আফেনি ও জেনিফার হ্যারিসের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়, যার পর মুহাম্মদকে কাজ থেকে বের করে দেওয়া হয়। কিন্তু কিছু সময় পরই তিনি নিজের গাড়িতে থাকা একটি ছুরি নিয়ে ফিরে এসে হ্যারিসকে ছুরিকাঘাত করেন।
ঘটনার সময় মুখ ঢেকে রাখায় তাকে শনাক্ত করা কঠিন হলেও, এক সশস্ত্র গ্রাহক তাকে পালাতে বাধা দেন এবং পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করে।
ইস্টপয়েন্ট পুলিশের লেফটেন্যান্ট অ্যালেক্স হোলিশ আদালতে জানান, আফেনি মুহাম্মদ স্বীকার করেছেন যে তিনি হ্যারিসকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যার জন্য ছুরি চালিয়েছেন। “তিনি বলেন, কাজ থেকে ফেরত পাঠানোর পর তিনি পার্কে গিয়ে ফিরে এসে ছুরি নিয়ে এসে আঘাত করেন।”
আদালতে ম্যাকম্ব কাউন্টির বিচারক মুহাম্মদের জামিন ২৫ মিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেন। বর্তমানে তিনি ম্যাকম্ব কাউন্টি কারাগারে আটক রয়েছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, আফেনি মুহাম্মদ ইনস্টাগ্রামে সক্রিয় একজন ব্যক্তি। ‘official risen Phoenix’ নামের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে তিনি বিভিন্ন ভিডিও শেয়ার করতেন, যার অনুসারী সংখ্যা ৬৭০০-এর বেশি।
এক রিপোর্টে WWJ নিউজরেডিও ৯৫০ জানায়, আফেনি ইনস্টাগ্রামে হ্যারিসকে নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেন, যেখানে তিনি হ্যারিসকে কর্মীদের “বুলি” করার অভিযোগ তোলেন। ভিডিওতে তিনি বলেন, “ওই নেতিবাচক শক্তি আর চলবে না।”
জেনিফার হ্যারিস ছয় সন্তানের মা ছিলেন। এই ঘটনার পর স্থানীয় সম্প্রদায় শোকাহত এবং ঘটনার পূর্ণ তদন্ত দাবি জানিয়েছে।