লর্ডস টেস্টের দ্বিতীয় দিনে চমক দেখালেন ইংল্যান্ডের গতিতারকা জোফরা আর্চার। দীর্ঘ চার বছর ইনজুরির কারণে টেস্ট ক্রিকেট থেকে বাইরে থাকা আর্চার মাত্র তৃতীয় বলেই ফিরিয়ে দিলেন ভারতের ওপেনার ইয়াশাসভি জয়সওয়ালকে। এর কিছুক্ষণ পর ফেরেন ফর্মে থাকা অধিনায়ক শুভমান গিলও।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ৩৮৭ রানের জবাবে ভারতের সংগ্রহ ১৪৫ রানে ৩ উইকেট। ব্যাটিং করছেন কেএল রাহুল ৫৩ এবং ঋষভ পান্ত ১৯ রানে অপরাজিত।
২০১৯ সালের বিশ্বকাপে লর্ডসে নজরকাড়া পারফরম্যান্স দিয়েছিলেন আর্চার। সেবার সেঞ্চুরিয়নের মাথায় বাউন্সার দিয়ে স্টিভ স্মিথকে কনকাশনে ফেলেছিলেন। এবার ইনজুরি কাটিয়ে ফের একবার ফিরলেন প্রিয় ভেন্যুতে, আর এসেই বাজিমাত।
মাত্র তৃতীয় বলেই ঘণ্টায় ৯০ মাইল গতির ফুললেংথ ডেলিভারিতে জয়সওয়াল ক্যাচ তুলে দেন সেকেন্ড স্লিপে হ্যারি ব্রুকের হাতে। দর্শকদের রুদ্ধশ্বাস উল্লাসে মাঠ যেন কেঁপে উঠে।
শুভমান গিল এই সিরিজে আগের চার ইনিংসে ৫৮৫ রান করেছিলেন, যার মধ্যে ছিল তিনটি শতক। কিন্তু এদিন তিনি মাত্র ১৬ রানে কিপার স্মিথের হাতে ক্যাচ দেন ক্রিস ওকসের বলে।
এর আগে স্টোকসের বলে করুণ নায়ার (৪০) ফিরেন দুর্দান্ত এক লেফট-হ্যান্ড ক্যাচে জো রুটের হাতে। এই ক্যাচের মাধ্যমে টেস্ট ইতিহাসে ২১১টি ক্যাচ নিয়ে আউটফিল্ডারের সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়েন রুট।
ইংল্যান্ডের ইনিংসে বরাবরের মতো আলো ছড়িয়েছেন জো রুট। ৯৯ রানে অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় দিনে শুরু করে প্রথম বলেই বাউন্ডারিতে পূর্ণ করেন নিজের ৩৭তম টেস্ট সেঞ্চুরি।
তবে ভারতের পেসার জসপ্রিত বুমরাহ ইংল্যান্ডকে চাপে ফেলে দেন। দ্বিতীয় দিনে ৭ বলের মধ্যে ৩ উইকেট নিয়ে তারা ২৭১-৭ তে পরিণত হন। বুমরাহ তুলে নেন স্টোকস, রুট এবং ওকসের উইকেট। শেষপর্যন্ত তার ইনিংস ফিগার দাঁড়ায় ৫-৭৪।
তবে তলানির ব্যাটার ব্রাইডন কার্স ইংল্যান্ডকে উদ্ধার করেন। নিজের প্রথম টেস্ট ফিফটি করেন ৫৬ রান করে, যেখানে ৮৪ রানের জুটি গড়েন স্মিথের সঙ্গে। স্মিথ করেন ৫১ রান।
স্মিথের এটি টানা তৃতীয় ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি, আগের টেস্টে করেছিলেন ১৮৪* ও ৮৮।
কার্সের ইনিংস শেষ হয় মোহাম্মদ সিরাজের বলে বোল্ড হয়ে, তবে এর আগে তিনি একটি ছক্কা হাঁকিয়ে ৭৭ বলের ফিফটি পূর্ণ করেন।
লর্ডসে দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারতের বিপক্ষে ইংল্যান্ড দাপটেই রয়েছে। তৃতীয় দিনে ম্যাচের মোড় কোন দিকে ঘুরে যায়, তার অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রেমীরা।