সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ কোচ এবং বর্তমান ব্রাজিল জাতীয় দলের প্রধান কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে কর ফাঁকির দায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে স্পেনের একটি আদালত। ২০১৪ সালে আয় গোপনের অভিযোগে এই রায় দিলেও বাস্তবে জেল খাটতে হবে না এই ইতালিয়ান কোচকে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আনচেলত্তি ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হিসেবে কাজ করার সময় চিত্রস্বত্ব থেকে আয়ের একটি বড় অংশ গোপন করেছিলেন। আয়কর অফিসের দাবি, তিনি শেল কোম্পানির মাধ্যমে প্রায় ১০ লাখ ইউরোর আয় গোপন করেন এবং সেগুলোর কোনো কর দেননি।
৬৬ বছর বয়সী আনচেলত্তি অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো ধরনের জালিয়াতি করেননি। তিনি ধারণা করেছিলেন, চিত্রস্বত্ব থেকে আয়ের নির্ধারিত কাঠামো অনুযায়ী কর পরিশোধ করেছেন।
তবে আদালত জানায়, আনচেলত্তি কর ফাঁকির বিষয়টি সচেতনভাবে করেছেন এবং এ জন্য তাকে এক বছরের কারাদণ্ড ও ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬১ ইউরো জরিমানা করা হয়েছে। রায়ে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, “এই আয়ের উৎস ছিল স্পেনে, এবং তিনি তা গোপন করেছেন। ব্যবহৃত কাঠামোগুলো অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।”
তবে যেহেতু দণ্ডটি দুই বছরের কম এবং আনচেলত্তির পূর্বে কোনো অপরাধের রেকর্ড নেই, তাই তাকে কারাভোগ করতে হবে না।
আদালত অবশ্য ২০১৫ সালের কর ফাঁকির অভিযোগ থেকে তাকে মুক্তি দিয়েছে। আদালত জানায়, সে বছরের জন্য তার স্পেনে বৈধ কর বাসিন্দা হওয়ার কোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণ মেলেনি।
এ নিয়ে স্পেনে কর ফাঁকির মামলায় অভিযুক্ত ফুটবল সংশ্লিষ্ট তারকার তালিকায় যুক্ত হলেন আরও একজন। এর আগে হোসে মরিনহো, লিওনেল মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোও কর ফাঁকির মামলায় দণ্ডিত হয়েছিলেন। তবে তারাও জেল খাটেননি, কারণ তারা ছিলেন প্রথমবারের মতো দোষী।
উল্লেখ্য, আনচেলত্তি কোচ হিসেবে রেকর্ড পাঁচটি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতেছেন। খেলোয়াড় হিসেবে এসি মিলানের হয়ে দুটি ইউরোপিয়ান কাপ জয় করেন তিনি। গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে শিরোপা শূন্য থাকার পর তিনি দায়িত্ব নেন ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচ হিসেবে।