বিএনপির নাম ব্যবহার করে কেউ অনিয়ম বা অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়ালে তার বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, “বিএনপির নাম ব্যবহার করে কেউ বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা সৃষ্টি করতে পারে, তবে দল যখনই বিষয়টি জানতে পারে, তখনই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ইতোমধ্যে কয়েকজনকে বহিষ্কার ও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।”
তিনি বলেন, “বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ন্যায়বিচার, বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং সুশাসনের আইনি কাঠামো গঠনের জন্য নিরলসভাবে লড়াই করে আসছে। যারা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে, তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।”
দলের অবস্থান পরিষ্কার করতে গিয়ে রিজভী বলেন, “বিএনপি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। তাই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দলটির সদস্যরা সবসময় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। কোনো চাঁদাবাজ, ভূমি দখলকারী বা সমাজবিরোধীকে বিএনপি প্রশ্রয় দেয় না।”
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, “সকল ধর্ম, বর্ণ ও পেশার সৎ ও দেশপ্রেমিক মানুষ বিএনপির সদস্য হতে পারে। তবে কোনোভাবে সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না।”
রিজভী অভিযোগ করেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপির বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, “একটি কুচক্রী মহল প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে পরিকল্পিতভাবে দলের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। সাধারণ মানুষ মনে করে, এই ধরনের অপপ্রচার সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “এটা শুধু একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র নয়, বরং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত ও নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ।”