উপকূলীয় অঞ্চলে টানা ভারী বৃষ্টিপাত ও প্রবল মৌসুমি বাতাসের কারণে ভোলার আটটি নদীপথে লঞ্চ চলাচল মঙ্গলবার সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানিয়েছে, উপকূলীয় এলাকার নদীগুলোতে পানি বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি তীব্র বাতাসের কারণে এসব রুটে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ ভোলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এম রিয়াদ হোসেন জানান, যে রুটগুলোতে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে সেগুলো হলো: ভোলা-লক্ষ্মীপুর-চরফ্যাশন-মনপুরা, তজুমদ্দিন-মনপুরা ও দৌলতখান-আলেকজান্ডারসহ মোট আটটি রুট।
বিগত চারদিনের অবিরাম বৃষ্টিতে ভোলায় জনজীবন চরমভাবে ব্যাহত হয়েছে। জেলা শহর ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। শহরের প্রধান সড়কসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পানি জমে চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভোলা অফিস সূত্রে জানা গেছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দুপুর পর্যন্ত ভোলায় সর্বোচ্চ ১৩২.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
ভোলা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৃষ্টিপাতের এই ধারা আগামী ১২ জুলাই পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
নিম্ন আয়ের মানুষ, বিশেষ করে রিকশাচালক, দিনমজুর ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। বৃষ্টির কারণে তারা আয়-রোজগার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে স্থানীয় সতর্ক সংকেত নম্বর ৩ দেখাতে বলেছে। এর প্রেক্ষিতে ভোলার অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার আটটি রুটে লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বৃষ্টির পাশাপাশি নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিচু এলাকার মানুষজন ব্যাপক কষ্টে রয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনে আরও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।