জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে কোনো ধরনের আপস করা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি) প্রধান সংগঠক (দক্ষিণ) হাসনাত আবদুল্লাহ। মঙ্গলবার মেহেরপুরে ‘বাংলাদেশ গঠনে জুলাই মার্চ’ শীর্ষক এক জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “যদি কেউ, এমনকি দলের ভেতর থেকেও, দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো কাজে লিপ্ত হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, নেতৃত্ব উত্তরাধিকার সূত্রে নয়, জনগণের রায় এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে আসা উচিত। দেশের মানুষ এখন সচেতন এবং পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত।
জনসভায় তিনি উল্লেখ করেন, “ছাত্র-আন্দোলন থেকেই ভবিষ্যতের নেতৃত্ব উঠে আসবে। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যেসব নেতা উঠে এসেছেন, তারাই আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়বে।”
সভায় এনসিপির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তৃতায় তিনি দেশের রাজনৈতিক চর্চায় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সচেতন নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহর বক্তব্যে উঠে এসেছে ন্যায়ের ভিত্তিতে নেতৃত্ব বাছাই, জাতীয় স্বার্থে একনিষ্ঠতা এবং রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান।
দেশের চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই বক্তব্য নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। বিশেষ করে ছাত্র-ভিত্তিক আন্দোলন ও নেতৃত্ব গঠনের উপর গুরুত্বারোপ সমাজে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি শেষে বলেন, “মানুষ এখন আর চুপ করে থাকবে না। তারা নেতৃত্ব চায় যোগ্যতার ভিত্তিতে। সময় এসেছে নতুন নেতৃত্ব তৈরির।”
এনসিপির এই জনসভা স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন বার্তা পৌঁছে দিয়েছে বলে স্থানীয়দের ভাষ্য।