Wednesday, July 9, 2025
Homeআন্তর্জাতিকপাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির ভারতের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলেছেন

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির ভারতের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলেছেন

অপারেশন নিয়ে বাইরের সহায়তার দাবি প্রত্যাখ্যান করলো ইসলামাবাদ

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির সোমবার জানিয়েছেন, ভারতের পক্ষ থেকে ইসলামাবাদকে বাইরের সহায়তা পাওয়ার অভিযোগ “তথ্যগতভাবে ভুল এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন।” ইসলামাবাদের ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটিতে স্নাতক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আসিম মুনির বলেন, “পাকিস্তানের সফল অপারেশন ‘বুনিয়ানুম মারসুস’ নিয়ে বাইরের সহায়তার অভিযোগ শুধুই একধরনের মানসিক অস্বীকৃতি, যা দেশের অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা ও প্রাতিষ্ঠানিক সহনশীলতাকে স্বীকার করতে চায় না।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়লে আমরা সীমাহীনভাবে নয়, বরং দ্রুত ও কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখাব।”

এই মন্তব্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাহুল আর সিংয়ের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া হিসেবে আসে। তিনি সম্প্রতি দিল্লিতে এক সেমিনারে বলেছিলেন, “মে মাসের ৭ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত চলা অপারেশন সিন্ধুরে পাকিস্তানকে সক্রিয় সামরিক সহায়তা দিয়েছে চীন। এ সময়ে চীন নতুন অস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে।”

ভারতের ওই দাবি অনুযায়ী, পাকিস্তান এই সংঘাতে ‘ফ্রন্ট ফেস’ হিসেবে কাজ করেছে, চীন ও তুরস্ক উভয় দেশই তাদের নানা সামরিক সরঞ্জাম ও কৌশলগত সহায়তা দিয়েছে।

তবে আসিম মুনির বলেছেন, “ভারতের কৌশলগত মনোভাব আত্মকেন্দ্রিক এবং স্বার্থনির্ভর। পাকিস্তান দীর্ঘমেয়াদী কূটনৈতিক নীতির মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।”

তিনি আরও বলেন, “যদি আমাদের জনপদ, সামরিক ঘাঁটি, অর্থনৈতিক কেন্দ্র কিংবা বন্দর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়, তাহলে আমরা সমানভাবে নয়, বরং আরও গভীর ও কষ্টদায়ক প্রতিক্রিয়া দেখাব।”

পাক সেনাপ্রধানের মতে, যুদ্ধ জয় করা যায় না মিডিয়া প্রচার, আমদানিকৃত দামী অস্ত্র কিংবা রাজনৈতিক স্লোগানের মাধ্যমে। তার মতে, “বিশ্বাস, পেশাগত দক্ষতা, কৌশলগত পরিষ্কার ধারণা, প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি ও জাতীয় সংকল্পই যুদ্ধের প্রকৃত চাবিকাঠি।”

উল্লেখ্য, ভারত ৭ মে ‘অপারেশন সিন্ধুর’ চালু করেছিল পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার জবাবে। পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন জঙ্গি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়। চার দিন ধরে চলা সংঘাতে ১০ মে উভয় পক্ষই সামরিক অভিযান বন্ধে সম্মত হয়।

নতুন দিল্লি দাবি করে আসছে, ভারতের জোরালো পাল্টা আক্রমণের পর পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। কিন্তু ইসলামাবাদ এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, তাদের সাফল্য এসেছে নিজস্ব কৌশলগত ক্ষমতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক দৃঢ়তার মাধ্যমে।

RELATED NEWS

Latest News