ডেইলি প্রতিদিনের বাণী রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২১ মে ২০২৫, ১৮:৫৬
কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের সদ্য ঘোষিত আংশিক কমিটি বাতিলের দাবিতে টানা বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার রাতে নগরীতে প্রতিবাদী মশাল মিছিল বের করা হয়।
মিছিলের নেতৃত্ব দেন মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি পদপ্রার্থী আজমির হোসেন শরীফ এবং দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি পদপ্রার্থী তোফায়েল আহমেদসহ অন্য নেতারা।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ২০১৮ সালে এ দুটি ইউনিটে কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এরপর ২০২৪ সালের ১৫ মে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির দক্ষিণ জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের ৬ ও ১৩ সদস্যের দুটি আংশিক কমিটি অনুমোদন দেন।
দক্ষিণ জেলা কমিটিতে সভাপতি করা হয় কাজী জোবায়ের আলম জিলানীকে এবং সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক ধীমানকে। মহানগর কমিটিতে সভাপতি হন নাহিদ রানা এবং সাধারণ সম্পাদক ফায়াজ রশিদ প্রিমু।
কমিটি ঘোষণার পরই কুমিল্লা নগরীতে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করে। শনিবার সন্ধ্যায় আবারও বিক্ষোভ হয়, যেখানে বিএনপির মহানগর ও দক্ষিণ জেলা কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনার জেরে রোববার গভীর রাতে কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন, মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী মো. মহসিন, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সালাহ উদ্দিন রকি এবং ছাত্রদলের নেতাকর্মী মো. সোহাগ হোসেন, সাইফুল ইসলাম ও মারুফ আহমেদ।
মহানগর ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সভাপতি ফখরুল ইসলাম মিঠু বলেন, “যারা জেল-জুলুম সহ্য করেছে, আন্দোলনে সক্রিয় ছিল, তাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। বরং অচেনা মুখদের কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে।”
তিনি জানান, এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের অবহিত করা হয়েছে এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে কুমিল্লায় ছাত্রদল বিভক্ত হয়ে পড়েছে এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা বেড়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
