ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় ৯ বছর বয়সী শিশু মাইমুনাকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা মানববন্ধন করেছেন।
সোমবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তারা দ্রুত বিচার ও অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, “ধর্ষণের মতো ভয়াবহ অপরাধ যারা করে, তারা মানসিক বিকৃতিতে ভোগে। এর মূল কারণ বিচার ব্যবস্থার দুর্বলতা। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলেও তা কার্যকর না হওয়ায় অপরাধ বাড়ছে। এসব অপরাধ দমন করতে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে।”
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুন্না বলেন, “আমরা চাই মাইমুনার খুনিদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা হোক এবং আইনের আওতায় আনা হোক। তা না হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করে আন্দোলনে নামব।”
ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন বলেন, “স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও এভাবে শিশুদের নৃশংসভাবে হত্যা মেনে নেওয়া যায় না। আমি আহ্বান জানাই, দেশের প্রতিটি নারী ও শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। মাইমুনার ঘটনায় দ্রুত বিচার দেখতে চাই।”
উল্লেখ্য, গত ৬ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার এক মসজিদের ছাদ থেকে মাইমুনার নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ছিল। প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের পর হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, এই ধরনের ঘটনায় বারবার বিচারহীনতা দেখা যাচ্ছে। কঠোর ও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ভবিষ্যতে এমন বর্বরতা আরও বাড়বে।
তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, যেন ধর্ষণ ও শিশু হত্যার মতো ঘটনায় শূন্য সহনশীলতা নীতি অনুসরণ করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়।