নারী ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমিন সোনিয়া মুরশিদ জানিয়েছেন, গত বছরের জুলাই গণআন্দোলনে শহিদ ১১ নারীর জীবন ও আত্মত্যাগের স্মরণে গবেষণা এবং একটি বিস্তারিত প্রকাশনা গ্রহণ করা হবে।
রোববার নারায়ণগঞ্জের রিয়া গোপের বাড়ি ও সিদ্ধিরগঞ্জের সুমাইয়ার বাড়িতে গিয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “জুলাইয়ে ১১ জন নারী শহিদ হয়েছেন। তাঁদের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের কাহিনী সংরক্ষণ করতে হবে।”
পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলার পর উপদেষ্টা জানান, শহিদদের সন্তানদের শিক্ষার নিশ্চয়তা, নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যৎ জীবিকার জন্য সরকার কাজ করছে। বিশেষভাবে সুমাইয়ার পরিবার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “তাঁর তিন ভাই, মা এবং সন্তান আছে। এ পরিবারটির পাশে থাকতে হবে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা দিয়ে কীভাবে সহায়তা করা যায়, তা আমরা খতিয়ে দেখছি।”
তিনি জানান, শহিদ নারীদের সন্তানদের লালনপালনের জন্য বিশেষ রাষ্ট্রীয় অগ্রাধিকার নিশ্চিত করা হবে। শহিদ পরিবারগুলোর জন্য বরাদ্দ নিয়ে কিছু জটিলতা রয়েছে, যা সমাধানে সরকার সচেষ্ট।
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও বিচারপ্রক্রিয়া সম্পর্কেও বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “আমরা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছি, যা সাধারণত দীর্ঘ সময় নেয়। তবে তাড়াহুড়ো করে যেন কোনো ধরনের অন্যায় না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “রাষ্ট্র কখনও অন্যায় করবে না। যদি ভুল হয়েও যায়, সেটি সংশোধনের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। আমরা একটি উন্মুক্ত সরকার পরিচালনা করি, যেখানে সমালোচনার সুযোগ রয়েছে, তবে আমরা চাই সমালোচনার সঙ্গে গঠনমূলক প্রস্তাবও আসুক।”
গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “শুরুর দিকে কিছু ভুল হয়েছে, কারণ পরিস্থিতি দ্রুত বদলাচ্ছিল। তবে এখন জেলা প্রশাসকরা সংশোধনের কাজ করছেন।”
সার্বিকভাবে উপদেষ্টা শারমিন সোনিয়া শহিদ নারীদের পরিবারের পাশে সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। রাষ্ট্রীয় সহযোগিতার পাশাপাশি মানবিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।