প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইসলামি এনজিওগুলোকে সামাজিক ব্যবসায় আরও সক্রিয়ভাবে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “মুসলিম বিশ্বে দারিদ্র্য ও স্বাস্থ্যসেবা সংকট নিরসনে সামাজিক ব্যবসা একটি কার্যকর পন্থা হতে পারে।”
রোববার রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিভিন্ন মুসলিম দেশের এনজিও নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ড. ইউনূস বলেন, “আমরা নারীদের ওপর গুরুত্ব দিই, স্বাস্থ্যসেবার ওপর গুরুত্ব দিই। দরিদ্র হলে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তাই আমরা স্বাস্থ্যসেবাকে দরিদ্রদের সহায়তার একটি উপায় হিসেবে দেখেছি। সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে এই সহায়তা সহজে দেওয়া সম্ভব।”
তিনি আরও বলেন, “আমি বিশ্বের তরুণদের উৎসাহ দিচ্ছি যেন তারা সামাজিক উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলে এবং সামাজিক ব্যবসায় যুক্ত হয়।”
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী এনজিও নেতারা জানান, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ড. ইউনূসের সামাজিক ব্যবসা নিয়ে চালানো প্রচারণা তাদের নিজ নিজ দেশে এ ধরনের উদ্যোগ নিতে অনুপ্রাণিত করেছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের ইউনিয়ন অব এনজিওস অব দ্য ইসলামিক ওয়ার্ল্ড (ইউএনআইডব্লিউ)-এর মহাসচিব ইউপ আকমাল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টার্কিশ অ্যাসেম্বলির প্রতিনিধি মুহাম্মদ হুসেইন আকতা, মালয়েশিয়ার ওয়াদাহ সংগঠনের প্রতিনিধি ও ইউএনআইডব্লিউ-এর উপ-মহাসচিব ফাওয়াজ বিন হাসবুল্লাহ, পাকিস্তানের আলখিদমত ফাউন্ডেশনের সভাপতি মুহাম্মদ আবদুস শাকুর এবং ইন্দোনেশিয়ার ইউএনআইডব্লিউ-এর অডিটিং বোর্ড সদস্য ড. সালামুন বাশরি।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট (বিআইআইটি)-এর সভাপতি অধ্যাপক মাহবুব আহমেদ, সাওয়াবের চেয়ারম্যান ও ইউএনআইডব্লিউ-এর উচ্চ পরামর্শ বোর্ড সদস্য এস এম রাশেদুজ্জামান, কৃষিবিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ইউএনআইডব্লিউ-এর কাউন্সিল সদস্য ড. আলী আফজাল এবং বিআইআইটি’র মহাপরিচালক ও আইআইআইটি’র কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. এম আবদুল আজিজসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে মুসলিম বিশ্বের টেকসই উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসে যৌথভাবে কাজ করার ওপর জোর দেওয়া হয়। এনজিও নেতারা ভবিষ্যতে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।