Sunday, June 22, 2025
Homeজাতীয়সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার আয়োজন করতে পারবে নির্বাচন কমিশন

সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার আয়োজন করতে পারবে নির্বাচন কমিশন

ডেইলি প্রতিদিনের বাণী রিপোর্ট
প্রকাশিত:
২১ মে ২০২৫, ০৩:৪১
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের নির্বাচনি প্রচার কার্যক্রম এবার পরীক্ষামূলকভাবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তত্ত্বাবধানে আয়োজন করা যাবে। প্রার্থীদের জন্য একক মঞ্চে ইশতেহার ঘোষণার সুযোগসহ ব্যানার, ফেস্টুন ও লিফলেট সরবরাহের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে নতুন আচরণ বিধিমালার খসড়ায়। তবে এসব খরচ বহন করতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকেই।

ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, আচরণ বিধিমালার খসড়াটি কমিশনের আজকের সভায় উপস্থাপন করা হবে। কমিশন অনুমোদন দিলে বিধিমালাটি কার্যকর করবে ইসি সচিবালয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিতব্য এই সভায় দুইটি আলোচ্যসূচি রয়েছে। একটি হলো রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০২৫ এবং অন্যটি সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০২৫।

নতুন খসড়ায় যুক্ত হওয়া বিধানগুলোর মধ্যে রয়েছে ডিজিটাল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারকে আইনি কাঠামোতে আনা। প্রার্থী কিংবা তার পক্ষে অন্য কেউ সামাজিক মাধ্যমে প্রচার চালাতে চাইলে তার নাম, অ্যাকাউন্ট, ও আইডি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হবে। কারও ব্যক্তিগত চরিত্রহনন করে প্রচার চালানো হলে সাইবার বা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।

এছাড়া সামাজিক মাধ্যমে প্রচার ব্যয়কে নির্বাচনি ব্যয়ের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

নতুন বিধান অনুসারে, নির্বাচনি প্রচারে ব্যবহৃত মাইক, সভাস্থল, লিফলেট প্রভৃতির জন্য নির্ধারিত বাজেট ও পরিকল্পনা অনুমোদন করবেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা। নির্ধারিত কোডে প্রার্থীদের অর্থ জমা দিতে হবে এবং নির্বাচনের পর অব্যবহৃত অর্থ ফেরত দেওয়া হবে।

প্রার্থীদের প্রতি সাত দিন পর পর ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার বিধান সংযুক্ত করা হয়েছে, যেখানে আগে শুধু নির্বাচনের পর একবার হিসাব জমা দেওয়ার বিধান ছিল।

মাইক ব্যবহারে শব্দসীমা ৬০ ডেসিবেলের মধ্যে রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সরকারি সুবিধাভোগী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নির্বাচনি প্রচারে সম্পৃক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরও কঠোর করা হয়েছে।

ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রচার কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বাড়বে, ব্যয় নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং সহিংসতা কমে আসবে বলে তারা আশা করছেন।

নতুন বিধিমালার অনুমোদন পেলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রচার কার্যক্রমে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

RELATED NEWS

Latest News