এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকে ৭-০ গোলের ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। শনিবার মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহরের থুউন্না স্টেডিয়ামে এই দাপুটে জয় পায় টাইগ্রেসরা।
রিতু পর্না চাকমা ও শামসুন্নাহার জুনিয়র দুটি করে গোল করেন। পাশাপাশি একটি করে গোল করেন সপ্না রানি, মনিকা চাকমা ও তহুরা খাতুন। প্রথমার্ধেই সাত গোল করে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় বাংলাদেশ।
ম্যাচের শুরুতেই চমক দেখান সপ্না রানি। চতুর্থ মিনিটে দুর্দান্ত দূরপাল্লার শটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। মাত্র দুই মিনিট পর গোলমুখে হড়কাচড়ায় বল জড়ান শামসুন্নাহার জুনিয়র। এরপর ১৩ মিনিটে ক্রস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন শামসুন্নাহার।
১৬তম মিনিটে মনিকা চাকমা চতুর্থ গোল করেন দুর্দান্ত শটে। পরের মিনিটেই রিতু পর্না ২৫ গজ দূর থেকে শট নেন। তুর্কমেনিস্তানের গোলরক্ষক বল ধরতে ব্যর্থ হলে তা গড়িয়ে যায় জালে।
১৯তম মিনিটে রিতু পর্নার ক্রস থেকে গোল করেন তহুরা খাতুন। ২০ মিনিটের মধ্যেই বাংলাদেশ ছয় গোল করে ফেলেছিল।
প্রথমার্ধের ৪০তম মিনিটে বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের সপ্তম গোলটি করেন রিতু পর্না। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে কোচ পিটার বাটলার একাধিক পরিবর্তন আনেন এবং রিতু পর্নাকে তুলে নেন।
দ্বিতীয়ার্ধে আর গোল না হলেও বল দখলে আধিপত্য বজায় রাখে বাংলাদেশ। স্টপেজ টাইমে আফেইদা খন্দকারের একটি দূরপাল্লার ফ্রি কিক ফিরিয়ে দেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক।
এই জয়ের মাধ্যমে তিন ম্যাচে পূর্ণ ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ ‘সি’ থেকে শীর্ষে থেকে পরের রাউন্ড নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। আগেই তারা বাহরাইনকে ৭-০ এবং স্বাগতিক মিয়ানমারকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইতিহাস গড়ে।
গ্রুপের অন্য ম্যাচে মিয়ানমার ৬-০ গোলে হারিয়েছে বাহরাইনকে।
২০২৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় এএফসি এশিয়ান কাপে অংশগ্রহণের জন্য এখন ড্রয়ের অপেক্ষায় রয়েছেন টাইগ্রেসরা। বাংলাদেশের নারী ফুটবলের এই সাফল্যে খুশি দেশের ক্রীড়াঙ্গন।