প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, দেশের অনেক টেলিভিশন চ্যানেল ও পত্রিকা অতীতের স্বৈরশাসন আমলে পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকা পালন করেছে। তবে এখন পর্যন্ত তারা কেউই এর জন্য দুঃখপ্রকাশ করেনি।
শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক পোস্টে তিনি লেখেন, ওই সময়ে এসব গণমাধ্যম শুধুমাত্র সরকারের প্রচারযন্ত্র হিসেবে কাজ করেনি, বরং জুলাই মাসের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সহিংসতা উসকে দিতেও সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে।
তার ভাষ্য অনুযায়ী, “জুলাই আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে চারদিন আগে, সঙ্গে করে ফিরিয়ে এনেছে গুলিবর্ষণ ও হত্যার বিভীষিকাময় স্মৃতি এবং একটি নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণের আশাও। এখন আমরা দেখছি গণমাধ্যমগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিশেষ প্রতিবেদন প্রচার করছে, যা তাদের জন্য নিজের ভূমিকাকে পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ।”
তিনি বলেন, “তারা তখন সব ফুটেজ ও তথ্য থাকা সত্ত্বেও জনগণের সামনে সেগুলো তুলে ধরেনি। এখন সেই ঘটনা নতুন করে আলোচনায় আনছে, যা একটি ইতিবাচক দিক।”
আজাদ অভিযোগ করেন, “টেলিভিশন চ্যানেল ও সংবাদপত্রগুলোর কেউই তাদের আগের কাজের জন্য ক্ষমা চায়নি। কেউ কেউ সরাসরি সহিংসতা উসকে দিয়েছিল, কেউ বা সরকারের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিল।”
তবে এসব সত্ত্বেও অন্তর্বর্তী সরকার কোনো গণমাধ্যমকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে বরং প্রতিষ্ঠানগুলোকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। “গণমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা বা চাপ না দিয়ে বরং সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করাই ছিল আমাদের অগ্রাধিকার। এখন সেই পরিবর্তন দৃশ্যমান।”
তিনি আরও জানান, “আমরা অনেক সাংবাদিকের কাছ থেকে জেনেছি কীভাবে তাদের তথ্য চেপে রাখতে বাধ্য করা হতো। এ কারণেই আমরা গণমাধ্যমে স্বচ্ছতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
আবুল কালাম আজাদের এই মন্তব্য গণমাধ্যম জগতে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে, গণতন্ত্র ও সাংবাদিকতার স্বাধীনতার প্রশ্নে এই স্বীকারোক্তি নতুনভাবে প্রাসঙ্গিকতা পেয়েছে বলে মত বিশ্লেষকদের।