ডেইলি প্রতিদিনের বাণী রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২০ মে ২০২৫, ০৪:৪৯
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পাকিস্তানের সাম্প্রতিক হামলায় ভারতের জম্মু-কাশ্মীর অঞ্চলের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনা ঘটেছে। পুঞ্চ, কুপওয়ারা, বারামুলা ও রাজৌরির বহু গ্রামে গুঁড়িয়ে গেছে ১০ হাজারের বেশি বাড়ি। বহু পরিবার হয়েছে বাস্তুচ্যুত। যুদ্ধাবস্থার মতো পরিস্থিতি বিরাজ করছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর।
ন্যাশনাল কনফারেন্সের সংসদ কর্মকর্তা আজাজ জান জানিয়েছেন, শুধুমাত্র তার নির্বাচনী এলাকার ৯০টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৬০টিতে হাজার হাজার বাড়ি ও স্থাপনা সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস হয়েছে। একই দলের আরেক সংসদ সদস্য জাভিদ আহমেদ জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারকে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে, আর যেসব বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের জন্য ৫ লাখ টাকা করে চাওয়া হয়েছে।
এই হামলার প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠেছিল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে। যদিও উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কোনো নির্ধারিত তারিখ নেই এবং এটি এখনো বহাল রয়েছে।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এক প্রতিবেদনে জানায়, সম্প্রতি দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার সিনেটে বলেন, ১৪ মে তারিখে অনুষ্ঠিত আলোচনায় ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মহাপরিচালকরা (ডিজিএমও) যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ১৮ মে পর্যন্ত বাড়ানোর বিষয়ে একমত হন। পরবর্তীতে যুদ্ধবিরতি নবায়ন না হওয়া নিয়ে যে গুজব রটেছিল, তাও এ ঘোষণার মাধ্যমে অবসান ঘটেছে।
সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এই সহিংসতার প্রভাবে মানবিক সংকটও বেড়েছে। বাস্তুচ্যুত মানুষদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় স্তরে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, শান্তিচুক্তি কার্যকর রাখার ক্ষেত্রে দুই দেশের রাজনৈতিক সদিচ্ছাই কতটা দৃঢ় থাকবে।