Friday, July 4, 2025
Homeআন্তর্জাতিকনিরব মোদির লন্ডনের অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রির অনুমোদন দিল না আদালত

নিরব মোদির লন্ডনের অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রির অনুমোদন দিল না আদালত

বেকার স্ট্রিটের পাশে ৪ হাজার স্কয়ার ফিটের ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট বিক্রিতে আবারো আইনি জটিলতা

লন্ডনের হাই কোর্ট বুধবার ঘোষণা করেছে, নিরব মোদির জন্য ২০১৭ সালে ট্রাস্ট কোম্পানি কর্তৃক কেনা একটি ডুপ্লেক্স অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রির প্রস্তাব অনুমোদনযোগ্য নয়। বেকার স্ট্রিট স্টেশনের পাশে অবস্থিত ৪ হাজার ৭৯ বর্গফুটের অ্যাপার্টমেন্টটির বিক্রয়মূল্য ধরা হয়েছিল ৪.২৫ মিলিয়ন পাউন্ড, কিন্তু আদালতের পূর্বের নির্দেশনা অনুযায়ী এটি ৫.২৫ মিলিয়নের নিচে বিক্রি করা যাবে না।

ট্রাস্টের পক্ষে বলা হয়, সম্পত্তির খরচ ও আইনগত ব্যয় মেটানোর জন্য বিক্রি অপরিহার্য। এছাড়াও তারা ওই সম্পত্তি বন্ধক রেখে ১.৫ মিলিয়ন পাউন্ড ঋণ নেওয়ার অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু বিচারক মন্তব্য করেন, ট্রাস্টির সিদ্ধান্ত গ্রহণের যথাযথ প্রমাণ নেই এবং ঋণের অর্থ কোথায় ব্যয় হবে তা স্পষ্ট নয়।

এই অ্যাপার্টমেন্টটিকে ভারতের পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে জানায় ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)।

২০১৭ সালে নিরব মোদির বোন পূরবী মোদি ও তাঁর সন্তানদের নামে ‘ট্রাইডেন্ট ট্রাস্ট’ গঠন করা হয়। নিরব মোদির দাবি, ফ্ল্যাটটি কেনার জন্য তিনি নিজে ৬.৫ কোটি রুপি ঋণ দিয়েছিলেন, তাই বিক্রির অর্থ তাঁর পাওনা।

ট্রাস্ট চাইছে সুইজারল্যান্ডে জমা থাকা তাদের ১৩ মিলিয়ন ডলারের অ্যাকাউন্ট ED খুলে দিক, যাতে বিক্রি ছাড়াই সম্পত্তির খরচ মেটানো যায়। কিন্তু ED প্রতিনিধি হরিশ সালভে আদালতে বলেন, তহবিল মুক্ত করার পক্ষে নয় তারা, বরং ফ্ল্যাট বিক্রির পক্ষে সমর্থন দেয়।

সালভে আরও বলেন, “যেহেতু ফ্ল্যাটটি খালি পড়ে আছে এবং ভাড়া দেওয়া যাচ্ছে না, তাই বিক্রি করাটাই যৌক্তিক। তবে ১৮ শতাংশ সুদের হারে ঋণ নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।”

আদালতে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন নিরব মোদি, যিনি ২০১৯ সাল থেকে থেমসাইড কারাগারে বন্দি। তাঁর পক্ষের আইনজীবী আদালতে বলেন, সর্বোচ্চ ৪ লক্ষ পাউন্ড ঋণ নেওয়া যেতে পারে, ১৫ লক্ষ নয়। একইসঙ্গে অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রির বিরোধিতা করেন তিনি।

আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠানটির সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বচ্ছতা নেই এবং আইনজীবীদের ফি মেটাতে দ্রুত সম্পদ তরলীকরণের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।

এই মামলাটি বড় অঙ্কের সম্পদ, জটিল ট্রাস্ট মালিকানা এবং উচ্চ পর্যায়ের আর্থিক অনিয়মের চিত্র আবার সামনে নিয়ে আসে।

RELATED NEWS

Latest News