Friday, July 4, 2025
Homeআন্তর্জাতিকযুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে ট্রাম্পের বিল পাসে চাপে স্পিকার জনসন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে ট্রাম্পের বিল পাসে চাপে স্পিকার জনসন

মাত্র চার রিপাবলিকান সদস্যের বিরোধিতাতেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে হাউজের ভোট

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলোচিত ‘Big Beautiful Bill’ পাস করাতে হিমশিম খাচ্ছেন স্পিকার মাইক জনসন। বুধবারের ভোটাভুটিতে চারজন রিপাবলিকান সদস্য এই বিলের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে।

এই চারজন হলেন রিপ. অ্যান্ড্রু ক্লাইড, ভিক্টোরিয়া স্পারটা এবং কিথ সেলফ। এর মধ্যে কংগ্রেসে বিল পাস করাতে হলে সহজ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন, অর্থাৎ উপস্থিত সব সদস্যের মধ্যে অন্তত ২১৮ জনের সমর্থন লাগবে।

যেহেতু হাউজে সব সদস্যই উপস্থিত এবং ভোট দিচ্ছেন, রিপাবলিকানদের পক্ষে তিনজনের বেশি সদস্যের বিরোধিতা সামাল দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ছে।

রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠতার মুখে স্পিকার মাইক জনসন এখন একটি কঠিন সমীকরণে পড়েছেন। প্রতিনিধি থমাস ম্যাসির মন্তব্য অনুযায়ী, কমপক্ষে ১০ জন রিপাবলিকান সদস্য এই বিলের বিপক্ষে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের হাউজে কোনো বিলের ভোটে টাই হলে সেটি বাতিল বলে গণ্য হয়। হাউজ রুল XX, ক্লজ ১ অনুযায়ী, সংখ্যাগরিষ্ঠ ছাড়া কোনো আইন পাস করা যায় না।

সিনেটে ভাইস প্রেসিডেন্ট ভোট দিয়ে টাই ভাঙতে পারেন, কিন্তু হাউজে এমন কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে টাই হলে বিলটি পাস হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে শেষ হয়ে যাবে এবং স্পিকার জনসনের জন্য নতুন করে আলোচনা কিংবা সংশোধনের দরজা খুলে যাবে।

এমনকি, যদি বিতর্কের নিয়ম ঠিক করতে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়াগত ‘রুল’ ভোটেই টাই হয়, তবে সেটাও বিলটিকে ভোটাভুটির জন্য উপস্থাপন করতে বাধা দেবে।

চলতি বছরের ২২ মে হাউজে এই বিল ২১৫-২১৪-১ ভোটে পাস হয়েছিল। সেখানে রিপাবলিকান সদস্য ম্যাসি ও ওহাইওর ওয়ারেন ডেভিডসন ‘না’ ভোট দেন, আর অ্যান্ডি হ্যারিস ভোটদানে বিরত থাকেন।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে জনসন মাত্র তিনটি রিপাবলিকান ‘না’ ভোটের বেশি সহ্য করতে পারবেন না, কারণ ডেমোক্র্যাটিক নেতা হাকিম জেফরিসসহ সব ডেমোক্র্যাট সদস্য বিলটির বিরোধিতা করছেন।

বুধবারের প্রক্রিয়াগত ভোট শেষ হওয়ার আগে স্পিকার জনসনের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে হাউজের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের হুইপ টম এমার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “আজ রাতেই ভোট হবে। আমরা বিতর্ক শেষ করব এবং তারপর বিল নিয়ে চূড়ান্ত ভোট হবে।”

সবমিলিয়ে, এই বিল পাস করাতে স্পিকার জনসনের জন্য এখন প্রতিটি ভোটই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন দেখার বিষয়, চূড়ান্ত সমর্থন আদায় করে তিনি হাউজের সমীকরণে সাফল্য আনতে পারেন কি না।

RELATED NEWS

Latest News