উইম্বলডনে ইতিহাস গড়ার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করলেন সার্ব তারকা নোভাক জোকোভিচ। ২৫তম গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের অভিযানে প্রথম রাউন্ডেই অস্বস্তি ও একটি সেট হার সত্ত্বেও জয় তুলে নিলেন এই অভিজ্ঞ টেনিস খেলোয়াড়।
সোমবার রাতে সেন্টার কোর্টে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ফ্রান্সের বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের ৪১ নম্বর খেলোয়াড় আলেক্সান্দ্রে মুলারকে ৬–১, ৬–৭ (৭/৯), ৬–২, ৬–২ গেমে পরাজিত করেন ছয় নম্বর বাছাইপ্রাপ্ত জোকোভিচ।
প্রথম সেটে দাপটের সঙ্গে খেললেও দ্বিতীয় সেটের টাইব্রেকারে হেরে বসেন জোকোভিচ। হঠাৎ করেই খেলার ছন্দ হারিয়ে ফেলেন তিনি।
ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, “প্রথম দেড় সেটে নিজেকে দুর্দান্ত ফর্মে অনুভব করছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই শরীর খারাপ লাগতে শুরু করে। এটা হয়তো কোনো পেটের সমস্যা ছিল। ঠিক জানি না। প্রায় ৪৫ মিনিট নিজেকে খুব খারাপ লাগছিল।”
“ডাক্তারের ‘মিরাকল পিলস’ খাওয়ার পর শক্তি ফিরে আসে। এরপর বাকি ম্যাচটা ভালোভাবেই শেষ করতে পেরেছি।”
উইম্বলডনের প্রতি তাঁর আবেগ বরাবরের মতোই গভীর।
তিনি বলেন, “এই কোর্ট, এই টুর্নামেন্টের প্রতি সবসময়ই এক ধরনের পবিত্রতা অনুভব করি। এটি আমার এবং অনেক খেলোয়াড়ের শৈশবের স্বপ্নের টুর্নামেন্ট।”
২০২৩ সাল থেকে মার্গারেট কোর্টের ২৪টি গ্র্যান্ড স্লামের রেকর্ডের সঙ্গে সমতায় রয়েছেন জোকোভিচ। উইম্বলডনকেই তিনি নিজের ২৫তম শিরোপা জয়ের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা হিসেবে দেখছেন।
৩৮ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় গত দুই উইম্বলডন ফাইনালে হারেন কার্লোস আলকারাজের কাছে। তবে এবার তাঁর লক্ষ্য রজার ফেদেরারের রেকর্ড আটটি উইম্বলডন পুরুষ একক শিরোপার সঙ্গে সমতায় পৌঁছানো।
২০১৮ সাল থেকে প্রতিটি উইম্বলডন ফাইনালে খেলা জোকোভিচ জানেন, সময় তাঁর পক্ষে নেই। কার্লোস আলকারাজ ও ইয়ানিক সিনার যেভাবে পুরুষ টেনিসে আধিপত্য তৈরি করছেন, তাতে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ আরও কঠিন হবে বলে মনে করেন তিনি।
এখন দেখার বিষয়, ‘মিরাকল পিলস’-এর সাহায্যে শুরু হওয়া এই পথচলা শেষ পর্যন্ত ইতিহাসের পাতায় কীভাবে লেখা হয়।